আটক রোহিঙ্গা যুবক
ভোটার হতে এসে নীলফামারী জেলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে চার রোহিঙ্গা যুবক। আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই চার রোহিঙ্গা যুবক হলেন, কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার জামতলী রোগিঙ্গা ক্যাম্প সাব ব্লক-এফ/১৫ এর আবুল হাসেমের ছেলে আমজাদ (২৪), একই উপজেলার কুতুবপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-জি/২ এর মৃত করিমুল্লাহর ছেলে আরাফাত নূর (২৪), উখিয়া বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮-ই ব্লক-বি/২৭ এর বাসিন্দা গুলো হোসাইনের ছেলে আনছ ওরফে আনোজ ওরফে আরোশ (২৪) এবং উখিয়া পূর্বদরহাবিল গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে হাফিজ উল্লাহ্ (২৫)। পূর্বদরহাবিল গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করে ওই গ্রামে বসবাস করেন রোহিঙ্গা যুবক হাফিজ উল্লাহ।
নীলফামারী সদর থানার পরির্দশক (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন,‘রোহিঙ্গা চার যুবককের বিরুদ্ধে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সামসুল আযম মামলা দায়ের করেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে’।
এবিষয়ে কথা বলা হলে জেলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সামসুল আযম জানান, ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তির জন্য সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে ওই চার যুবক তার কার্যালয়ে আসেন। তারা নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মহব্বত বাজিতপাড়া (ভোটার এলাকার কোর্ড নং-০৩১৬) গ্রামে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাদের জন্ম নিবন্ধন ও পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সংযুক্ত সকল কাগজপত্র ভূয়া। প্রত্যেকেই চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেন। তারা‘জাতীয় পরিচায় পত্র পাওয়ার উদ্দেশ্যে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে ভোটার তালিকায় নাম অন্তভুক্তি করতে এসেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে চট্রগ্রামের নূর মোহাম্মদ ও নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পঞ্চপুকুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মাধ্যমে এ কার্যালয়ে আসেন বলে জানান। বিষয়টি নিশ্চিৎ হওয়ার পর রাতে তাদের নামে থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়’
শিহাব উদ্দিন