ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

চিন্ময় দাসকে জামিন না, আইনজীবী নিহত

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৯:১৫, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চিন্ময় দাসকে জামিন না, আইনজীবী নিহত

নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর  করেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আদালত চত্বরে আদেশের পর ‘তাণ্ডব’ চালায় তার কয়েক’শ অনুসারী। এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। 

নিহত ওই আইনজীবী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার ১২টায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মামলায় চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে চিন্ময় কৃষ্ণর অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে তাকে বহন করা প্রিজন ভ্যান আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। অনুসারীরা প্রিজন ভ্যানের আশপাশে অবস্থান নেয়। অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়ে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বোঝানোর পরও সরে না দাঁড়ানোর কারণে বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে অনুসারীদের পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা শুরু করে। পরপর কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় অবস্থানকারীরা। এরই মধ্যে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যেতে চাইলে সেটির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের গাড়িতে করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে চিন্ময় দাসের অনুসারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত চত্বর ত্যাগ করার সময় জেলা পরিষদের সামনে দাঁড়ানো সেনাবাহিনীর জিপ, সরকারি গাড়ি, গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেলসহ অন্তত ২০টি গাড়ি এবং আদালত চত্বরের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে। অনুসারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী রফিক। পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রঙ্গম টাওয়ার, লালদিঘি, আন্দরকিল্লা এলাকায়। 

নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চিন্ময় অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে রাখে। তাদের দাবি, আবার শুনানি হতে হবে। তবে আসামিপক্ষের আবেদন সাপেক্ষে বুধবার (২৭ নভেম্বর) মহানগর দায়রা জজ আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানি হবে বলে তিনি জানান।

শহিদ

×