পরিবহণ সেক্টর অশান্ত করার জন্য মাঠে নেমেছে একটি চক্র। বিগত সরকারের আমলে পরিবহণ সেক্টরের গডফাদাররা পালিয়ে গেলেও তাদের সহযোগীরা এখনো এ খাতে সক্রিয় হবার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এমন অভিযোগ করেছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন নেতৃৃবৃন্দ।
তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) গাবতলীতে জড়ো হয়ে আগের মতোই সংগঠিত হবার চেষ্টা করে চক্রটি। তবে সাধারণ মালিক শ্রমিকের প্রতিরোধের মুখে তা পন্ড হয়ে যায়।
গাবতলীর সাধারণ মালিক শ্রমিকদের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিবহন সেক্টর শাজাহান খান ও এনায়েত উল্যাহর দোসররা এখনো সক্রিয়। গণপরিবহনের মালিক নামধারী কিছু ব্যক্তি নতুন কৌশলে পরিবহন খাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।
মজিবুল হোসেন বাদল নামের একজন পরিবহন নেতা অভিযোগ করে বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে ভুয়া স্বাক্ষরে গাবতলীতে আগামী ২৭ নভেম্বর এক তলবী সভা আহ্বান করেন সোহরাব নামের একজন। যা পরিবহন সেক্টরকে অশান্ত করা ও পরিবহন মালিকদের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করা হয়। কুচুক্রি মহল তাদের স্বার্থে নাম ও ভুয়া স্বাক্ষর করেছে। সেখানে যে তথ্য দেওয়া হয় তার সাথে গাড়ীর নম্বর, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বর সঠিক না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এর আগেও ওই চক্রটি জাতীয় প্রেসক্লাবে সন্মেলন করতে চাইলে সাধারণ বাস মালিকদের পক্ষ থেকে সেটা পন্ড করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, পরিবহন খাতকে চাঁদামুক্ত ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় বিআরটিএ ও সরকারের সংষ্লিষ্ট সংস্থাকে সাথে নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিন্তু গণপরিবহনের মালিক নামধারী কিছু পতিত সরকারের সুবিদাভোগী দুস্কৃতিকারী ব্যক্তি নতুন কৌশলে পরিবহন খাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। অতীতে বাস মালিকদের নানাভাবে জিম্মি করে রাখতেন তারা । তখন সড়কে চাঁদাবাজি কোনোভাবেই ঠেকানো যায়নি। কিছু অসাধু বাস মালিক নেতার সঙ্গে আঁতাত করে পরিবহন খাতকে জিম্মি করে রেখেছিলেন । আমরা চাঁদাবাজি বন্ধ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছি।
এমএম