সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৫ আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে সংকটে পড়েছে দলটি।এমন সংকটের কথা স্বীকার করেছেন খোদ দলের অনেক নেতাকর্মীরা।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন দলটির অনেক প্রভাবশালী নেতারা। হাই ভোল্টেজ অনেক নেতারাও রয়েছেন কারাগারে।অনেকেই আবার ভোল পাল্টানোরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
দলের যখন এমন সংকট চলছে ঠিক তখনি দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দলের নেতাকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে একের পর এক বার্তা।খোদ হাসিনার ও দিকনের্দেশনা নিয়ে ভাইরাল হচ্ছে একের পর এক ফোন কল।যদি ফ্যাক্ট রিউমার স্ক্যানার সবগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারে নি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থেকে এক স্ট্যাটাসে দলটির নেতাকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ সময় তৃণমূল নেতাকর্মীরাই সংকটকালে ভরসার জায়গা বলে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের পেজে দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রিয় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীবৃন্দ, দলের সংকটময় সময়ে আপনারাই আশার আলো।
এই কঠিন সময়ে দলের প্রতি আপনাদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। দলীয় সংযোগ দৃঢ় করুন এবং সর্বদা খবরের প্রতি সজাগ থাকুন।
দলের দুঃসময়ে সাহসিকতার সঙ্গে যারা রুখে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তবে আওয়ামী লীগের পেজে ঘেঁটে দেখা গেছে, পেজটিতে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করা হয়। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময়ে ভুয়া তথ্য বা গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আছে পেজটির বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগের এমন বার্তার পরেই আলোচনা উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।অনেকেই বলছেন এমন বার্তা পেজের মাধ্যমে মূলত শেখ হাসিনা নিজেই দিচ্ছেন।
ফুয়াদ