ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সেমিনারে ক্রীড়া উপদেষ্টা

ছাত্র আন্দোলন কোটা সংস্কারে সীমাবদ্ধ থাকেনি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩২, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্র আন্দোলন কোটা সংস্কারে সীমাবদ্ধ থাকেনি

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারের দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১৫ জুলাইয়ের পরে আমাদের আন্দোলনের ট্রানজিশন পয়েন্ট শুরু হয়। আমাদের ওপর হামলার পর আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারের দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। জনগণের যে আকাক্সক্ষা, দীর্ঘদিনের অত্যাচার নিপীড়নের মধ্যে থেকে যে স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা, সেই পথেই ১৫ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করে। শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শহীদ ডা. মিলন অডিটরিয়ামে ‘জুলাই বিপ্লবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছে উল্লেখ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর কিছুটা আতঙ্কে ছিলাম, কেমন উপস্থিতি হবে এই ভেবে। তখন আমি রাজু ভাস্কর্যের দিকে যাই। গিয়ে আমি প্রথমেই দেখতে পাই ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকদের। ঢাকা মেডিক্যাল থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে আগে থেকেই রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করছিলেন। সেটা আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছে। আপনারা অনেক বেশি ভূমিকা পালন করেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ দিতে পারিনি, আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার কারণে এমন এমন জায়গায় রাজনীতিকরণ করা হয়েছে, যেখানে রাজনীতি থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যেমন আমি কাজ করতে গিয়ে দেখেছি ক্রীড়াক্ষেত্র কেমন রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও করা হয়েছে। চিকিৎসা খাতেও এমন রাজনীতিকরণ করা হয়েছে যে, আমরা দেখেছি যে প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৪ আগস্ট শান্তি সমাবেশ বের হয়েছে। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। চিকিৎসা ক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ আপনারা রুখে দেবেন, এটা আমার প্রত্যাশা।’    
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, বিপ্লবে ঢামেকের বড় অবদান থাকলেও ৫ আগস্টের পরে আমরা সেভাবে স্বীকৃতি দিতে পারিনি। জাতির সামনে এ অবদান তুলে ধরতেই আজকের এ আয়োজন। সব পেশায় রাজনীতি ঢুকে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশী হিসেবে নয়, বরং দলীয় পরিচয়ে থাকতে পছন্দ করি। আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগ প্রতিটি খাতে রাজনীতি প্রবেশ করিয়েছে। আর স্বাস্থ্য খাতকে পুরোপুরি কব্জায় নিয়েছে। আমরা চিকিৎসা খাতে আর কোনো রাজনীতি চাই না।
অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কামরুল আলম, অর্থপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা।

×