সম্প্রতি ঠিকানায় খালেদ মহিউদ্দীন ইউটিউব ভিত্তিক চ্যানেলে উচিত কথা (পর্ব -০১) এ খালেদ মহিউদ্দীন পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু আলোচনা করেন।ভিডিওটি ইউটিউবে আসার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি ব্যাপক শেয়ার হয়।
খালেদ মহিউদ্দীন বিগত হাসিনা সরকারকে নিয়ে কী বলতে চেয়েছেন তা জনকন্ঠের পাঠকদের জন্য তাঁর আলোচনার উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ তুলে ধরা হল।
জাতির পিতা নাইতো কি হইছে,কেউ কেউ বলছেন ট্রাম্পকে দিয়া জাতির কাকার খেল দেখাবে।৮০০ বছর পর রাজা লক্ষণসেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আফা পালালের খিড়কি দরজা দিয়ে।সেসময় তার আর কিছুই মনে ছিল না।
তার অনুগত মাফিয়া বাহিনী যারা তার হুকুমে মানুষ ধরছে কচুকাটা করছে,সবগুলো প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে পলানোর সময় তাদের কথাও মনে পড়ল না,এতিমলীগ জননী শেখ হাসিনা।
এই না হলে জননী।অবশ্য পালানোর সময় বুদ্ধি করে টেলিফোন নিতে ভুলেন নি।মজার ব্যাপার এই টেলিফোন দিয়া তিনি নানা জায়গা থেকে ছোট ভাইদের উদ্দেশ্যে বাণী চিরন্তনী ছাড়েন।
ওবায়দুল কাদেরের মত বলতে হয় এরা কারা কোথায় থেকে এল।এই আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কারা যারা নেত্রীর দেখা পায়।
ফাঁস হওয়া ফোনকল নিয়ে মহিউদ্দিন মনে করেন এই ফোনকলগুলি বানানো অথবা যারা তার সাথে কথা বলছেন তারাই এই ফোনকলগুলা ফাঁস করছেন।ওনি এমনো বলেন তোমরা গিয়ে ট্রাম্প এর ছবি সামনে নিয়ে মিছিল করলে,ট্রাম্পের ছবি তুললে সেটা আমি ট্রাম্পকে পাঠিয়ে দিবে।
আফা এখন হেমিলনের বাঁশিওয়ালা হয়ে তার গর্তের ইঁদুর ভাইবোনদের কানে ট্রাম্পপ্যাড বাজাবেন আলো আসবেই।
মি. খালেদ শেখ হাসিনার পদত্যাগের উল্লেখ করে বলেন,কারো কারো মনে হইতে পারে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করেই দেশ থেকে চলে যেতে পারেন,আবার দেশে এসেও যেকোন সময় বলতে পারেন আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা পলানোর পরে তার যে ছেলেকে হারিকেন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যেত না,সে এখন পাঁচ ছয়টা মিডিয়ায় এসে বলতেছেন,ভাই আমার মা পদত্যাগ করছে, এখন আওয়ামী লীগের কী হবে সেগুলো আমাদের দেখার দরকার নাই। আওয়ামী লীগ ওদের মত থাকবে, আমরা আমাদের মত থাকব।
আমরা আমাদের মাকে নিয়ে আসতেছি,বাংলাদেশের লোকজনের কী হবে সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নাই।
ফুয়াদ