ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সম্পদ বিবরণী না দিলে সরকারি চাকরিতে যেসব জটিল শাস্তি হবে

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ২৩ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১০:৩৭, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সম্পদ বিবরণী না দিলে সরকারি চাকরিতে যেসব জটিল শাস্তি হবে

বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে ৩০ নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, এরপর থেকে প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিবরণী জমা দিতে হবে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিসাব বিবরণী দেওয়ার কথা থাকলেও এ বছর তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়। 

সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক বলে জানায় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণীর তথ্য গোপনীয়তার স্বার্থে সিলগালাকৃত খামে কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে হবে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে।

জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া: ক্যাডার/নন-ক্যাডার (৯ম গ্রেড বা তার উপরে) কর্মকর্তা তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের কাছে সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন।
গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তা (১০ম থেকে ২০তম গ্রেড) তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে পারবেন।
সম্পদ বিবরণী নির্দিষ্ট ফরম্যাটে জমা দিতে হবে, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। 

সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার শাস্তি: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা না দিলে বা ভুল তথ্য প্রদান করলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে চাকরির পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা, অবনমিতকরণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে।

এ নিয়মাবলী সব সরকারি কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য এবং এই তথ্য গোপন রাখা হবে। তথ্য অধিকার আইনও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

সম্পদের বিবরণী জমা না দিলে যে যেসব শাস্তি : সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(৫) (গ) উপবিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর জন্য ওই বিধিমালার ৪(২) ও ৪ (৩) উপবিধিতে উল্লিখিত যে কোনো লঘুদণ্ড বা গুরুদণ্ড আরোপ করার বিধান রয়েছে।

৪ (২) এ উল্লিখিত লঘুদণ্ড নিম্নরূপ :

ক. তিরস্কার;

খ. চাকরি বা পদ সম্পর্কিত বিধি বা আদেশ অনুযায়ী পদোন্নতি বা আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির অযোগ্যতার ক্ষেত্র ব্যতীত, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা;

গ. কর্তব্যে অবহেলা বা সরকারি আদেশ অমান্য করার কারণে সংঘটিত সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা তার অংশবিশেষ, বেতন বা আনুতোষিক হতে আদায় করা; অথবা

ঘ. বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ।

৪(৩) এ উল্লিখিত গুরুদণ্ডসমূহ নিম্নরূপ:

ক. নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ;

খ. বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান;

গ. চাকরি হইতে অপসারণ;

ঘ. চাকরি হইতে বরখাস্ত করা যাবে।

নাহিদা

×