নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে তার নেতৃত্বে গঠিত এ নির্বাচন কমিশন আগের মত নির্দেশিত হয়ে কোনো নির্বাচন করবে না।
আমরা রেফারির ভূমিকায় থাকব। আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মত বিনিময় করে সবাই মিলে যত জায়গায় গর্ত রয়েছে, সব গর্তের মুখ আমরা বন্ধ করব, বলেছেন তিনি। সাবেক এই আমলার ভাষায়, নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগোতে হবে।
নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিশনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ কমিশনের ওপর থাকবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার।
বৃহস্পতিবার বিকালে ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নতুন সিইসি। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের অঙ্গীকার জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, আমার কমিশনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যাতে মানুষের ভোটাধিকারটা ফিরিয়ে দিতে পারি। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে মানুষ তার পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। সেটা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা দরকার, আমি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন বলেন, “সিইসি ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত তিনটি নির্বাচন ধরলে (২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ, ২০২৪ সালের দ্বাদশ) মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন হয়েছে। অনেকে বলেছেন ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি; অনেকে ভোটকেন্দ্রে গেলেও ভোট দিতে পারেননি- এসমস্ত হয়েছে।
“গত ১৫-১৬ বছরে অনেক লোক রক্ত দিয়েছেন, অনেক খুন হযেছে, গুম হয়েছে। অনেক মা হারিয়েছে ছেলেকে; অনেক ছেলে হারিয়েছে মাকে। অনেকে ভাইকে, বাবাকে হারিয়েছেন। জুলাই-অগাস্টে কত লোক শহীদ হয়েছেন। কত লোক আহত, পঙ্গু হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন-চিন্তা করলে খুব খারাপ লাগে।
নতুন সিইসি বলেন, “এক অনুষ্ঠানে জানলাম, ১৩০টি শিশু মারা গেছে। এ মৃত্যুগুলো, আহত, পঙ্গু কেন হল? তাদের বড় চাওয়ার মধ্যে ছিল ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমার নিজের ভোট নিজে দিতে চাই, আমার পছন্দের প্রার্থীকে দিতে চাই। এখানে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, এ অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে।
শহিদ