ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আন্তঃ নগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রেক ফেল!

স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ২২ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ০০:৫৯, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আন্তঃ নগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রেক ফেল!

আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস

আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৪৭) ট্রেনের ব্রেক ফেলের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনটি নীলফামারীর সীমান্ত রেলস্টেশন চিলাহাটি থেকে খুলনা যাচ্ছিল। 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে নীলফামারীর ডোমার রেলষ্টেশনে যাত্রা বিরতীর সময় ট্রেনের ব্রেক ফেল করলে স্টেশন ছেড়ে দুই কিলোমিটার দুরে গিয়ে চালক ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হয়। ওই সময় যাত্রীদের মাঝে আতংঙ্ক সৃষ্টি হলেও বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা থেকে ট্রেন ও ট্রেনের যাত্রীরা রক্ষা পায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই ট্রেনের যাত্রীরা জানায় খুলনা গামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ১৫ মিনিট বিলম্বে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে আসে। পরের স্টেশন ডোমারে ট্রেনের যাত্রাবিরতী ছিল। কিন্তু দ্রুতগতিতে থাকা ট্রেনটি ডোমার রেলষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থামতে না পেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার অদূরে গিয়ে থামে। পরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার উল্টো পথে ডোমার প্ল্যাটফর্মে আসে যাত্রী তোলার জন্য।

চিলাহাটি থেকে ডোমারে ওই ট্রেনে আসা রতন ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ডোমার বাজার রেলগেট অতিক্রম করার পর প্ল্যাটফর্মে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের কাছাকাছি এসেও স্বাভাবিক গতি ছিলোনা ট্রেনটির। এতে ট্রেনে থাকা আমরা কয়েকজন যাত্রী ভয় পাই। পরে মনে হয়েছিল ট্রেনের ড্রাইভার মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। পরে ট্রেনটি আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে থামার পর ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। পরে জানতে পারি ট্রেনটির নাকী ব্রেক ফেল করেছিল।

ডোমার রেলষ্টেশনের অপেক্ষমান ওই ট্রেনের সৈয়দপুর যাওয়ার যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, স্ত্রী ও দুইসন্তান নিয়ে ডোমার স্টেশনে অপেক্ষা করছিলাম। ট্রেনটি সঠিক সময়ের ১৫ মিনিটে বিলম্বে ডোমারে প্রবেশ করে। স্টেশনে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে ট্রেনটি থামবে। ট্রেন এলো, কিন্তু থামল না। হঠাৎ অনেকে এমন দৃশ্য দেখে ষ্টেশনের অপেক্ষামান যাত্রীরা ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে। পরে ট্রেনটি ষ্টেশন ছেড়ে দুই কিলোমিটার অদুরে গিয়ে থামে। পরে ট্রেনটি পেছনে এসে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় নিয়ে আসা হয়।  যাত্রী তুলে ৭টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায়।

এ ব্যাপারে ট্রেনের লোকমাষ্টার (চালক) আসাদুজ্জামান  ও ট্রেন পরিচালক (গার্ড ) হুমায়ুন কবীর  উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, সাধারন ব্রেক কাজ না করায় স্টেশন ছেড়ে অনেকদূর গিয়ে জরুরী ব্রেক ধরে ট্রেনটি থামানো হয়। ততক্ষনে স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার অদূরে চলে আসে ট্রেন। এরপর পেছনে এনে যাত্রী নেয়া হয়। এটা কোন বড় কোন ঘটনা নয় বলে তারা মনে করেন। 

ডোমার রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার বাবু হোসেন জানান, আমরা মাইকে বরাবরের মতো ঘোষনা দিচ্ছিলাম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার কথা। কিন্তু ব্রেক ফেল হওয়ায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে যায়। এসময় যাত্রীদের সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। পরে ট্রেনটি পেছনে এসে যাত্রী তোলে। এরপর যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ৭টা ৫০ মিনিটে রওনা দেয়। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে জানতে পেরেছি পার্ব্বতীপুরে গিয়ে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়।

শহিদ

×