অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আজ সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুটি ছবি শেয়ার করে তার ক্যাপশনে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের অনুবাদ পোস্ট করেছেন।
স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল লেখেন- আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা কর না। নিশ্চয় তুমি তো ভূপৃষ্ঠকে কখনোই বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনোই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না। (সুরা বনী ইসরাইল বা ইসরা: ৩৭)
পোস্টের প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেনানিবাসস্থ সেনাকুঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আলাপ করছেন। দ্বিতীয় ছবিটি কার্টুন। সেখানে একটি স্টিলের ব্রিজ থেকে দুজনকে নদীতে ফেলে দেওয়ার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অনেক নেটিজেনরা ধারণা করছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময় এই শীর্ষ দুই ব্যক্তিকে পদ্মার পানিতে চুবাতে চেয়েছিলেন। অথচ প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এজন্য ছবি দুটি ব্যবহার করেছেন আইন উপদেষ্টা।
কিন্তু এবিষয়ে এখনো কিছু বলেন নি ড.আসিফ নজরুল।কিন্তু আজকে দীর্ঘ একযুগ পর আজ সেনাকুঞ্জে ফিরলেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।আর বর্তমান অন্তবর্তী সরকার ড. ইউনুস সরকার দেশের ক্রান্তিলগ্নে কান্ডারীর ভূমিকা পালন করছেন।অথচ বিগত সময়ে হাসিনা সরকার এই দুজনকেই চাপে ফেলতে বিভিন্নভাবে হামলা মামলার চেষ্টা করেছেন।যে ফটোকে মি. আসিফ কার্টুনরূপে পোস্ট করেছেন সেটাকে নেটিজেনরা অনেকে দেখছেন শেখ হাসিনার ব্যার্থ চেষ্টার ফলস্বরূপ।অথ্যাৎ নেটিজেনরা ইউনূস এবং খালেদা জিয়ার অতীতের নির্যাতনের শিকার থেকে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যাওয়াকেই প্রতীকরূপে দেখতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে খালেদা জিয়াকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিৎ।একই সঙ্গে পদ্মা নদীতে নিয়ে দুই চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত ড. ইউনূসকে। মরে যাতে না যায়।
ফুয়াদ