নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বাজেটে ভাগ চায় ইসির নিবন্ধিত পর্যবেক্ষকরা। সেই সঙ্গে সাধারণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ভোট পর্যবেক্ষণ ব্যয়ের অর্থও রাজস্ব খাত থেকে চায় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে তারা এমন প্রস্তাব করেছেন।
কমিশন সদস্য আব্দুল আলীম বৈঠক শেষে বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটা জেনারেল প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া যে ফান্ড সেটা রেভিনিউ ফান্ড (রাজস্ব খাত) থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছেন।
আব্দুল আলীম বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এখন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি। পৃথিবীর অনেক দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন কমিশনের চমৎকার সম্পর্ক থাকে। বাংলাদেশে এটা হয়নি। তারা পরামর্শ দিয়েছেন এটা যেন হয়।
অন্যদিকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে এবং ভোটকেন্দ্রের ভেতরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, বিনা বাধায় ও হয়রানি ছাড়া যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার পায়, সে ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন পর্যবেক্ষকরা।
এছাড়া নির্বাচনের পরে যে প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষকরা জমা দেয় সেগুলো নির্বাচন কমিশন কাজে লাগায় না, সেগুলো যেন কাজে লাগায়। কেন্দ্রে যেন সারাদিন থাকতে পারে এসব বিষয়ও নিশ্চিত করার জন্য তারা বলেছেন।
এর আগে ফ্রি ইলেকশন মুভমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ফেমা), ডেমোক্রেসিওয়াচ, অধিকার, খান ফাউন্ডেশন, ব্রতী, বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ, কোস্ট ট্রাস্ট, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, লাইট হাউস, মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসস, মুভ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস), টিএমএসএস,বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা- মানবাধিকার, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস), বাঁচতে শেখা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন,ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দি রুরাল
পিপল-ডরপ এবং যুব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের পূর্বে পাঁচ বছর পরপর পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ৯৬টি।
ইসরাত