ড. মোহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ফটো
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বলেছেন, আমরা কঠিনও হতে পারছি না। আমরা একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এসেছি। আমরা আগের জগতে ফিরে যাব না। পুলিশ-আর্মিকে সেভাবে ব্যবহার করব না, যেভাবে আগে ব্যবহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন ভার্সনে এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।
কোনো অসম্পূর্ণতা আছে? এর উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, অসম্পূর্ণতা হচ্ছে- শান্তি-শৃঙ্খলা। সারা দেশে আন্দোলন চলছে। মানুষ অফুরন্ত কামনা-বাসনা নিয়ে এখানে (যমুনার সামনে) আসে। তাদের ভাষ্য, গত ১৫-১৬ বছর ধরে আমরা কিছু পাইনি, আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, এটা পাইনি, ওটা পাইনি; এগুলো আজকে দিতে হবে। যেটা ১৫-১৬ বছরে দেয়নি সেটা একদিনে আমরা কোথা থেকে দেবো? সেটা তাদের বোঝাতে কষ্ট হচ্ছে।
আপনারা বলেন, বলা বন্ধ করতে বলছি না। কিন্তু এভাবে সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে এটা করবেন না। কারণ, মানুষের যন্ত্রণা হচ্ছে। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে যে আন্দোলন সেটাতে ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কাজেই তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
আনসাররা আন্দোলন শুরু করলো, চাকরির বয়স বাড়াতে চায়, বিশ্ববিদ্যালয় চায়-তাদেরকে বোঝাতে হয়েছে। সবকিছু একসঙ্গে এসেছে। সবাইকে বোঝানো যে এগুলো হবে; কোনোটা করে ফেলা হচ্ছে, কোনো ক্ষেত্রে আশ্বাস দিয়ে রেখে দিতে হচ্ছে। তারা আবার কদিন পরেই বলছে যে, কই হচ্ছে না তো। তাদেরকে আবার বোঝাতে হচ্ছে। হয়তো আমরা বোঝানোর ক্ষেত্রে ভালো না বলে তারা আবার ফিরে আসছে নিজেদের দাবি নিয়ে।
আল জাজিরাকে দেওয়া আপনার সাক্ষাৎকারের পরে একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে যে, আপনার সরকারের মেয়াদ চার বছর। আবার আপনার প্রেস সচিব বলেছেন, না, এটা আপনি বলেননি। এটা কি আরেকটু স্পষ্ট করা যায়? ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ভাষ্য, ওই সাক্ষাৎকারেও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। সেখানে বলেছি সংসদের মেয়াদ নিয়ে। সেখানে বলেছি, সংসদের মেয়াদ চার বছর হতে পারে। তখন প্রশ্ন করলো যে আপনাদের মেয়াদও কি চার বছর হবে? আমি বলেছি, এর কম হবে। এটুকুই বলেছি।
তাহলে তিন বছরের বেশি, চার বছরের কম? এই প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, আমি তিন বছর তো বলিনি। আমি এটাকে অস্পষ্ট রাখার চেষ্টা করছি কারণ, মেয়াদ বলে দিলে তখন বলবে যে তাড়াতাড়ি এটা শেষ করেন। আমরা চাচ্ছি সংস্কারটা যেন হয়। এটার জন্যই আমাদের সব চেষ্টা।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার।
এসআর