ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১১:১২, ২১ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ের আশঙ্কা

ইউক্রেন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানোয় ওয়াশিংটন মস্কো মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্বনেতাদের।

গত মঙ্গলাব্র রাশিয়ার কঠোর সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালায়।

পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনে মার্কিন, স্পেন, গ্রিস, ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশের দূতাবাস বন্ধ করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিমান হামলার শঙ্কায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মধ্যে চরম উত্তেজনার বড় প্রমাণ দুই পক্ষের মধ্যে ১৯৬৩ সালে চালু গোপন হটলাইন বন্ধ হয়ে যাওয়া। বৈরিতার মধ্যেও বিভিন্ন দেশ হটলাইন চালু রাখে।

গত বুধবার রয়টার্স জানায়, ক্রেমলিন ওয়াশিংটনের মধ্যে বিশেষ হটলাইন ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা তীব্রতর হচ্ছে।

চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি পরিবর্তন করেছে। এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন নীতিমালা অনুমোদন করেছেন।

মস্কো বলেছে, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে, পশ্চিমা দেশগুলো সংঘাতে উস্কানি দিতে চায়। এটাকে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন নিশ্চিত করেন, বাইডেন প্রশাসন স্থলমাইন ব্যবহারে ইউক্রেনকে অনুমতি দেবে।

স্থলমাইন দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। পদক্ষেপকেবড় ভুলবলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।

তানজিলা

×