বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সোহাগ মিয়ার (১৫) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ঘটনার চারমাস পর আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
তার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন গ্রামে। সোহাগ মিয়া ওই গ্রামের শাফায়েত মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় থাকত সোহাগ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হয় মৃত্যু হয় তার। পরবর্তীতে শাফায়েত মিয়া হাসপাতালে গিয়ে সোহাগের লাশ সনাক্ত করেন।
এরপর পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। গত ২০ আগস্ট শাফায়েত মিয়া এ ব্যাপারে ডিএমপির ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনশ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চীফ মেট্রোপলিটান আদালত সোহাগের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আর সে আদেশের প্রেক্ষিতেই বুধবার বিকেলে তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
লাশ উত্তোলনের সময় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার হোসেনসহ কলমাকান্দা থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
এমএম