বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন থেকে আমাকে থেকে আমাকে আর দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না। তিনি বলেন, একজন সহকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ রইলো, আপনাদের নেতা হিসেবে দয়া করে আমার নামের সঙ্গে আজকের পর থেকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক ব্যবহার করবেন না।
রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক কর্মশালায়’ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথা বলেন। কর্মশালায় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। এ সময় তিনি ৩১ দফা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শাসন, বেকারত্ব দূর করাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স শিল্পের বাইরে নতুন কর্মমুখর সেক্টর তৈরি করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে আরও বেশি মানুষ যেন যুক্ত হতে পারে সরকারিভাবে আমরা তা উৎসাহিত (এনকারেজ) করবো। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দেশ ও জাতি নিয়ে যে চিন্তা, যখন কেউ দেশের এ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করেনি, তখন বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছিল।
তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের এক নেতার বক্তব্য উদ্ধৃত করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, তাহলে যে সংস্কারই করি, কোনওটিই কাজে লাগবে না। রাজনৈতিক মুক্তি হচ্ছে জনগণের কাছে জবাবদিহি। যার যা ইচ্ছা করে যাবে, সেটা হবে না। সেটা সরকারি দল হোক, বিরোধী দল, এমপি হোক, মন্ত্রী হোক, জনগণের কাছে এর জবাব দিতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ভোটের মাধ্যমেই জবাবদিহিতা তৈরি হয়- বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।কর্মসংস্থানের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশে এক কোটির বেশি বেকার রয়েছেন। আমাদের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্সের বাইরে নতুন সেক্টর তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করার করার সুযোগ আছে। আমি চেষ্টা করি, অত দ্রুত পারবো না। অনেকাংশে সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো। রাতারাতি সব হবে না। দেশ সবার, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে একটু একটু এগিয়ে আসি। প্রত্যেকে যদি চেষ্টা করি ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু করতে সক্ষম হবো।
রিয়াদ