ওষুধের দাম বেড়েছে লাগামছাড়া
কিটোরোলাক ট্রোমেটামল গ্রুপের ব্যথার ওষুধ টোরেক্স। এর ১০ এমজির ৫০টি ট্যাবলেটের এক প্যাকেটের গায়ে বিক্রয়মূল্য গত আগস্টেও লেখা ছিল ৬০০ টাকা। এতে প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম পড়ে ১২ টাকা। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেপ্টেম্বর মাসে প্রস্তুতকৃত অপর একটি প্যাকেটের গায়ে মূল্য ধরা হয় ১০০০ টাকা। যেখানে প্রতিটি ওষুধের মূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে ওষুধটির দাম বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। শুধু এটিই নয় গত কয়েক মাস ধরেই ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে জীবন রক্ষাকারী নানান ওষুধের মূল্য।
বেশিরভাগের দামই বেড়েছে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। লাগামছাড়া ঊর্ধ্বমুখী এই ওষুধ কিনতে জরুরি পণ্যে কাটছাঁট করে চিকিৎসা করছেন সাধারণ মানুষজন। যদিও ডলারের দাম বৃদ্ধিকেই দুষছেন ব্যবসায়ীরা কিন্তু সাধারণ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জরুরি এ পণ্যের দিকে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
গত বছর ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সময় বেড়েছিল নাপা, ফেক্সো-ফেনাডিন, ডক্সিভা, সেকলো, অমিডন, মন্টিয়ার-মোনাস, এমকাস, রিভার্সএয়ারের মতো বহুল ব্যবহৃত ওষুধগুলোর। চলতি বছরের শুরু থেকে আবারও ওষুধের বাজারে তৈরি হয় অস্থিরতা। ওই সময় ২০ টাকার নাপা সিরাপ বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। ৪৫ টাকার সেকলোর পাতা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের দাম। সেফথ্রি বা সেফিক্সিম জাতীয় ওষুধের পিসপ্রতি বাড়ে ১০ টাকা করে। বছর শেষে আবারও বাড়ানো হয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাস আগেও ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কমেট ৫০০এমজির দাম ছিল ৫ টাকা পিস যা বর্তমানে দোকানভেদে ৭ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইরকমভাবে জিমেক্স ৩০এমএল এর দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, একই ওষুধের ৫০এমএল ১৮৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এ্যানাডল এসআর নামের ক্যাপসুলটি ১০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকা।
ফাইলোপেন ফোর্ট সিরাপ ৯৮ টাকা থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কার্ডি কিউ.৫০ নামের ক্যাপসুলটি ১৪ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলাট্রল সিরাপ ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুভা ১০এমজি বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়। ডার্মাসল এন অয়েন্টমেন্ট ৮০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এপিট্রা ০.৫এমজি ৬ টাকা পিস থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকায়।
শুধু তাই নয়, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্র¯্রাবজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ইউকল ২এমজি ট্যাবলেট ৩ থেকে ৫ টাকা করা হয়েছে। ফলে এক বক্স ৬০টির দাম ১৮০ থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। দাম বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ এবং টনসিলাইটিসের জন্য ব্যবহৃত একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ৫০০ এমজির অ্যাজিন ক্যাপসুল প্রতি পিস ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা করা হয়েছে। এক পাতার ৬টির দাম ২৭০ থেকে বেড়ে ৩৩০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে ২২ শতাংশ। গত বছর মোট ১ হাজার ৬৫০টি জেনেরিকের মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত ১১৭টি ওষুধের মধ্যে ৫৩টি ওষুধের দাম বাড়ায় সরকার। সেই দাম বাড়ানোর প্রভাবে জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম যে বৃদ্ধি পেয়েছিল তা আর কমেনি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরও তা না কমায় হতাশ সাধারণ মানুষজন।
সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার ওষুধের ফার্মেসিগুলো ঘুরে দেখা যায়, ইকোস্প্রিন ছিল ৬ টাকা। সেই জায়গায় বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। ৬০ পয়সা ট্যাবলেট প্রতিটির দাম থাকলেও তা বাড়িয়ে এখন ৮০ পয়সা করা হয়েছে। সেই হিসাবে ৮ টাকা পাতা হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতারা তা রোগীদের কাছে বিক্রি করছেন ১৫ টাকায়। পাতাপ্রতি বেশি রাখা হচ্ছে ৭ টাকা করে। একইভাবে জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নাপা ট্যাবলেটের ১ পাতার আগের দাম পাইকারি পর্যায়ে ছিল ৭ টাকা।
ভোক্তাদের কাছে তা বিক্রি হতো ৮ থেকে ১০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা। লোসারটান পটাশিয়াম ৫০ মিলিগ্রামের প্রতি পিসের দাম আট টাকা থেকে ১০ টাকা করা হয়েছে। প্যারাসিটামল ৫শ মিলিগ্রামের ১০ পিস ওষুধের দাম আট টাকা থেকে ১২ টাকা হয়েছে। প্যারাসিটামল ৬৬৫ মিলিগ্রাম ১০ পিস ওষুধের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়েছে। অ্যামলোডিপাইন অ্যাটেনোলোল ৫শ মিলিগ্রামের দাম ছয় টাকা থেকে আট টাকা হয়েছে।
ব্রোমাজিপাম ৩ মিলিগ্রামের দাম পাঁচ টাকা থেকে সাত টাকা হয়েছে। ১০ পিস কিনতে আগে ৫০ টাকা লাগত এখন ৭০ টাকা। অ্যাসপিরিন ৭৫ মিলিগ্রামের দাম ৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮ টাকা হয়েছে। মেট্রোনিডাজোলের ৪শ মিলিগ্রামের দাম এক টাকা থেকে হয়েছে দুই টাকা। এই ওষুধের ১০ পিসের দাম ১৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা হয়েছে।
বেক্সিমকোর টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ ট্রানেটা ২.৫/১০০০ প্রতি পিস ১৩ থেকে বেড়ে ১৫ টাকা করা হয়েছে। একবক্স (২০টি) ২৬০ থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে ১৫ শতাংশ। একই কোম্পানির হৃদরোগের জন্য ব্যবহৃত রসুটিন ২০ মিলিগ্রামের প্রতি পিস বেড়েছে ২ টাকা করে। এক বক্স ৩০টির দাম আগে ছিল ৯০০ টাকা। তা এখন বেড়ে ৯৬০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। অ্যাজমার সমস্যায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মনোকাস্ট ১০ এমজি প্রতি ক্যাপসুল বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা করে। যা আগে ছিল ১৫ টাকা।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যাক্সরিন ০.৪ মিগ্রা. ক্যাপসুল প্রতি পিস ১০ থেকে বেড়ে ১২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এক পাতা ১০টির দাম ১০০ থেকে বেড়ে ১২০ টাকা করা হয়েছে। বেড়েছে ২০ শতাংশ। ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালসের ইউরোম্যাক্স ০.৪ মিগ্রা. ক্যাপসুলের দাম প্রতি পিস ১০ থেকে বেড়ে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বক্স ৩০টির দাম ৩০০ থেকে বেড়ে ৩৬০ টাকা করা হয়েছে। বেড়েছে ২০ শতাংশ। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যথানাশক এরিয়ান অয়েন্টমেন্ট ১৫ গ্রাম টিউবের মূল্য ৭০ থেকে ৮৫ টাকা করা হয়েছে। একই কোম্পানির ফাইলোপেন ডি এস ক্যাপসুল প্রতি পিস ১২ থেকে ১৪ টাকা করা হয়েছে।
স্কয়ারের এরোমাইসিন পেডিয়েট্রিক ৬০ এমএলের ড্রপ ৭০ থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা হয়েছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের অ্যান্টাসিড প্লাস ২০০ মিলিগ্রামের সাসপেনশন সিরাপের দাম ৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকা করা হয়েছে। এরিস্টো ফার্মা লিমিটেডের অ্যাভোল্যাক ওরাল সল্যুশন ১০০ এমএল ১৭৬ থেকে ২০০ টাকা হয়েছে। যা রোগীদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
এ ছাড়া, বর্তমান নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় জ্বর-সর্দিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফেক্সোফেনাডিন প্রতি পিস ৮ টাকা থেকে ১২ টাকা হয়েছে। অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রতি পিস ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। ভিটামিন বি১ বি৬ বি১২ এর প্রতি পিসের দাম ৭ টাকা থেকে দুই ধাপে দাম বাড়িয়ে ১০ টাকা হয়েছে। ইসমিপ্রাজল এর প্রতি পিসের দাম ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা হয়েছে। লোসারটান পটাশিয়াম ৫০ মিলিগ্রামের প্রতি পিসের দাম ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা করা হয়েছে। প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রামের ১০ পিস ওষুধের দাম ৮ টাকা থেকে ১২ টাকা হয়েছে।
প্যারাসিটামল ৬৬৫ মিলিগ্রাম ১০ পিস ওষুধের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়েছে। প্যারাসিটামল সিরাপের দাম হয়েছে ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। অ্যামলোডিপাইন অ্যাটিনোলাল ৫ মিলিগ্রামের দাম ৬ টাকা থেকে ৮ টাকা হয়েছে। ব্রোমাজিপাম ৩ মিলিগ্রামের দাম ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা হয়েছে। ১০ পিস কিনতে আগে ৫০ টাকা লাগত এখন থেকে ৭০ টাকা লাগবে। অ্যাসপিরিন ৭৫ মিলিগ্রামের দাম এক পাতায় ১০ পিসের দাম পড়ত ৫ টাকা এখন ৮ টাকা হয়েছে।
ডলারের দাম বাড়ার কারণেই দামের ঊর্ধ্বগতি দাবি করে ওষুধ শিল্প মালিকদের সংগঠনের মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ওষুধের কাঁচামাল আমদানির জন্য আগে এলসি খুলতে লাগত ১ ডলারের বিপরীতে ৮০ টাকা। এখন যখন শিপমেন্ট এসে পৌঁছাচ্ছে তখন ডলারের দাম উঠেছে ১১৫ থেকে ১১৯ টাকায়। প্রতি ডলারে ৩০ টাকার মতো বেশি দিতে হচ্ছে। প্রাইস পলিসি মোতাবেক প্রত্যেক বছরে বাজারের আর্থিক অবস্থা যাচাই করে এমআরপি পণ্যের দাম নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু ২০ বছরেও তা করা হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দামও চড়া। এখন কিছু ওষুধের দাম না বাড়ালে প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা মুশকিল। আমরাও আসলে অসহায়ই।
ওষুধের দাম কিছুটা বাড়ার কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাফর মিয়াও। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আর ওষুধের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। সেই অনুযায়ী, কিছু দামে সমন্বয় করা হয়েছে। তবে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি। ১১৭টি ওষুধের দাম বিগত সরকার আগে যা ঠিক করে রেখেছিল, সেগুলো আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে যেসব পণ্য আমরা বিদেশ থেকে আনি, সেগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে কিছু সমন্বয় করা হয়েছে।
তবে স্বাভাবিকভাবে বেশি বাড়তে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, যেসব ওষুধ না খেলে মানুষ মারা যেতে পারে, সেই ১১৭টি ওষুধের দাম এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি। এর বাইরে কিছু নতুন নতুন ওষুধ এসেছে। সেগুলোর দাম বাড়ছে, আমি স্বীকার করি। তবে সেটা ডলারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে। এর বাইরে কোনো ওষুধের দাম বৃদ্ধির সুযোগ আমরা দেইনি। আমরা সবাই জানি ডলারের দাম বেড়েছে আকাশচুম্বি। ৮৬ টাকার ডলার এখন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৫ থেকে ১১৭ টাকা পর্যন্ত। ওষুধের কাঁচামাল কিনতে গেলে আরও বেশি দাম দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে কিছু কিছু কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু তাও খুব বেশি না। ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য তালিকাভুক্ত ১১৭টি ওষুধের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। আর এই ক্ষমতাবলে সেগুলোর দাম বাড়ানো হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জরুরি ব্যবহৃত ৫৩টি ওষুধের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে কয়েকটি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু দাম বাড়লেও কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই করা হয়নি উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জনকণ্ঠকে বলেন, কিছু কিছু ওষুধের দাম যৌক্তিকভাবে বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দামের চেয়ে মূল্য অনেকটা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর সুবিধা নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। মাঠপর্যায়ের ফার্মেসিগুলোও অধিক মুনাফার লোভে ৫৩টি ওষুধের বদলে অন্যান্য ওষুধেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকেই। এজন্য প্রয়োজন কঠোর একটি মনিটরিং টিম। যারা বাজার মনিটর করবে এবং কেউ ওষুধের বাড়তি দাম আদায় করলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেবে।