ছবি: টিবিএস
বিতর্কিত ডামি নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২৩ টিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছিল।এর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছিল ৬১টি আসন।অন্যদিকে বিরোধীদল হিসাবে জাতীয় পার্টি পেয়েছিল মাত্র ১১টি আসন।
গেল ৫ ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রজনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ছোটবোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে আত্নরক্ষা করেন।তারপর থেকে কার্যত ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।সর্বশেষ দিল্লীর লুটিয়েন্স বাংলোতে অবস্থানের কথা জানা যায়।এর মাঝে মধ্যেপ্রাচ্যে দুবাইতে চলে যাওয়ার ঘটনা চাউর হলেও পরে তার সত্যতা জানা যায় নি।
হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ার পরপরই, দলের অনেক নেতাকর্মীরাই হয়েছেন গ্রেফতার নয়তো পলাতক।৩০০ আসনে সংরক্ষিত ৫০টি আসন সহ সর্বমোট তিনশ আসনের ২৬১ আওয়ামী লীগের আসন হওয়ায় এসব এমপিদের অধিকাংশই রয়েছেন আত্নগোপনে।
এর মধ্যে বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ১৫৪৯ জন। এতে দলটির আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।এর মধ্যে ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৪৮টি।
এর মধ্যে গ্রেফতার হন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও কর্নেল ফারুক খান।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,সাবেক খাদ্য মন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার,সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি,আমীর হোসেন, সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন,সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর,একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির,সাবেক জ্বালানি, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আমু সহ অনেক হাই ভোল্টেজ এমপি মন্ত্রী গ্রেফতার হলেও অনেকে আছেন এখনো পলাতক।
আওয়ামী লীগের আরো শীর্ষ দুই নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের,সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এখনো গ্রেফতার করা যায় নি।এর মধ্যে কিছু এমপি গ্রেফতার হলেও অনেকে পলাতক থাকায় এটা স্পষ্ট করে বলাই যায়,আওয়ামী লীগের ৩০০ আসনের অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ফুয়াদ