ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গঠিত হচ্ছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, থাকবেন যারা

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

গঠিত হচ্ছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, থাকবেন যারা

ছবি: সংগৃহীত

সরকার সম্প্রতি একটি  ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠন করছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল আহমেদ। এই কমিশনে মোট ১১ জন সদস্য থাকবেন, এবং তাদের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে কমিশনের গঠন ও এর বিস্তারিত কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়।

কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের  (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।এছাড়া, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো)-এর একজন সদস্যও কমিশনে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন, তবে তার নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে যে, কমিশন অবিলম্বে তার কার্যক্রম শুরু করবে এবং আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সকল সংশ্লিষ্ট মতামত পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এর কাছে জমা দেবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে, এবং সদস্যরা সরকারিভাবে নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন, সম্মানি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশনের প্রধান বা সদস্য যদি অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে চান অথবা সুবিধা গ্রহণ না করতে চান, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা অনুমোদন করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থাগুলি কমিশনের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করবে, এবং কমিশন প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগও রাখবে। বিশেষভাবে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

গণমাধ্যম সংস্কারের জন্য এই পদক্ষেপটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের প্রক্রিয়া ও কাঠামোয় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনার সুযোগ তৈরি করবে, যার ফলে দেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থার গুণগত মান উন্নত হতে পারে।

নুসরাত

×