.
অগ্রহায়ণের শুরুতেই রংপুর বিভাগের আট জেলায় শীত, কুয়াশার দাপট বেড়েছে। লেপ, কম্বল সঙ্গী হয়েছে রাতের। রবিবার বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার কাটা ১৩ থেকে ১৫-এর ঘরে নেমেছে। বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এদিকে, রবিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় নওগঁাঁ জেলার বদলগাছীতে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে রংপুর অঞ্চলে গড়ে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। রবিবার উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুরে ১৪ দশমিক ১ এবং নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা ও শীতের মাত্রা বেড়েছে। এর মাঝেই নবান্নের ধান কাটতে ছুটছেন কৃষকরা। ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষাণীরাও। এদিকে ছিন্নমুল মানুষগুলো রেলস্টেশনে ও বাস টার্মিনালের শীত রাত অতিবাহিত করছে।
সৈয়দপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রতিরাত ৩০ টাকায় এখানে কম্বল ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। কম্বলের সঙ্গে আছে চাটাইয়ের ব্যবস্থাও। ট্রেনে ফেরি করে জিনিসপত্র বিক্রি শেষে স্টেশনে আসেন হকাররা। ভিক্ষুকরা সারাদিন ভিক্ষা করে ফেরেন। আছে ছিন্নমূলেরাও। দিন শেষে রাতের এই ঠিকানায় যারা আসেন তাদের একটি কম্বল ও একটি চাটাইয়ে শান্তির ঘুম দেন তারা। রাতযাপন শেষে ভোরে যার যার কাজে চলে যান।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, ভোর থেকে সব ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে। বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকার কথা থাকলেও সেখানে কখনো কখনো মাত্র ৫০ মিটার বা ২০০ থেকে ৪০০ মিটার ভিজিবিলিটি থাকছে। এতে বিমান চলাচলে কিছুটা বিঘœ ঘটছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া জানান, সকালের ফ্লাইটগুলো ঘন কুয়াশায় সিডিউল অনুযায়ী চলাচল করতে পারছে না।
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছর কিছুটা আগেভাগে শীতের আগমন ঘটে। বিদায়ও নেয় দেরিতে। রবিবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জেলাজুড়ে রাতভর ঝরতে থাকা ঘন কুয়াশা ছিল সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এর মধ্যেও জীবিকার তাগিদে ছুটছেন লোকজন।