দ্বীন কায়েমে জান ও মাল কুরবানি করা আল্লাহর বিধান উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর সেই বিধান পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে নিয়োজিত ছিল আছে এবং থাকবে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। এই বিজয়কে চূড়ান্ত বিজয়ে রূপ দিতে হবে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে একটি কনভেশন সেন্টারে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মেডিকেল বিভাগের ইউনিট সভাপতি-সেক্রেটারি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আল্লাহ ও রাসূল (সা.) কে নিজের পরিবার, স্ত্রী-সন্তান, পিতা-মাতা, জান ও মালের চেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে। রাসূলের আদর্শ ব্যতিত ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় না, হবে না। মক্কা বিজয়ের পর ভিন্ন ধর্মের মানুষ স্বীকার করেছে তারা জাহেলিয়াতের যুগে শান্তি ও নিরাপত্তা পায়নি, ইসলামের যুগে শান্তি ও নিরাপত্তা পেয়েছে। যেখানে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা হয় সেখানে মানুষ হিসেবে সকলেই নিরাপত্তা লাভ করে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোন বৈষম্য নাই, যত বৈষম্য সবগুলোই মানুষের তৈরি জীবন ব্যবস্থায় বিদ্যমান। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সকল মানুষ সমান মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। কোন বৈষম্য থাকবে না। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুফল জনগণের সামনে তুলে ধরতে তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি ধর্মবর্ণ, জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে পরিচিত সকল ভাই-বন্ধুকে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংক্রান্ত বই উপহার দেওয়ার পরামর্শ দেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মেডিকেল বিভাগের সভাপতি ডা. এম.জি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ডা. মমিনুল হক, ডা. আবু মোহাম্মদ, ডা. আমির হোসাইন, ডা. মাহরুফুল ইসলাম, ডা. মোজাম্মেল প্রমুখ।
নাহিদা