রাজধানীর গুলশানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন ডিএনসিসির আলোচিত হিট অফিসার বুশরা আফরিনের স্বামী আহমেদ জাওয়াদ রায়হান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের জামাতাও হন তিনি। জানা যায়, নিজের শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে ভাড়ায় নেওয়া বাসায়ই গড়ে তোলেন সিসা বার।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে বাড়ির মালিককে হুমকি দিয়ে দখল করে নেন এসব সম্পত্তি। তার সাথে সাবেক ডিবি হারুনের সংশ্লিষ্টতারও খবর পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী মুর্তজা রেজা নামে এক বাড়ির মালিক বলে, আবাসিক হিসেবে ভাড়া চুক্তি করে রেস্তোরাঁ বানানোয় বাড়ি ছাড়তে নোটিশ দেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর সেখানে গেলে হুমকি দেন।
এরপর তিনি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু পুলিশও এই বিষয়ে নিষ্ক্রিয় বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও পুলিশ অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার মা-বাবার মৃত্যুর পর বাড়িটি খালি পড়ে ছিল। আমি একজন বিশ্বাসযোগ্য ভাড়াটিয়া খুঁজছিলাম, যিনি বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণও করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমি প্রথমে রায়হান আজাদ টিটো এবং পরে তাঁর স্ত্রী আফরোজা রায়হানের সঙ্গে আবাসিক ভাড়া চুক্তি করি। প্রথম বছর তাঁরা ভালোই ছিলেন, কিন্তু আতিকুল মেয়র নির্বাচিত হলে তাঁর মেয়ের জামাই আহমেদ জাওয়াদ রায়হানের ছত্রচ্ছায়ায় আফরোজা আমার বাড়ি দখল করে নেন। আহমেদ জাওয়াদও এই সিসা বারের অংশীদার বলে আমি জেনেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিই, কিন্তু তাঁরা বাড়ি না ছেড়ে বিভিন্ন উপায়ে আমাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আমাকে দেখে নেবেন বলে শাসাচ্ছেন।’
গত ৩১ অক্টোবর গুলশান থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগী মুর্তজা রেজা। জিডিতে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভাড়াটিয়াকে আমি বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিই। পাশাপাশি ৩০ জুন ২০২৪ চুক্তি শেষ হওয়ার পরেও আফরোজা রায়হান বাড়িটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিতে চাই। কিন্তু আফরোজা রায়হান আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন।’
এ প্রসঙ্গে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ‘মুর্তজা রেজার জিডিটি আমরা পেয়েছি। অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে আমি অনুসন্ধান শুরু করব।’
নাহিদা