.
দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার ও অর্থনৈতিকসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক বছর ৩ মাস আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করে বিএনপি। রাষ্ট্র সংস্কারে দেওয়া এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। ক্ষমতায় গিয়ে এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে এক বছর ৩ মাস আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করে বিএনপি। ক্ষমতায় গেলে এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকারও করে দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনাও থেমে যায়।
ছাত্র-জনতার লাগাতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর আবার বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সোচ্চার হয়। দেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে জনমত বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে এই প্রস্তাবগুলো পাঠানো হয়। অতিসম্প্রতি রাজধানীর অভিজাত এলাকার একটি হোটেলে দেশের ক’টি রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিদেশে কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজন করে বিএনপি। এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে ইতোমধ্যেই দেশ বিদেশের বিভিন্ন মহল বিএনপির প্রশংসা করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপি আগে থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি নিয়ে সোচ্চার থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাও সংস্কারের দাবি জোরদার করে। তাই অন্তর্বর্র্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকেই সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সরকার বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে ৬টি সংস্কার কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিগুলো সবার মতামত নিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার চায় সংস্কার কাজ শেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে। তবে বিএনপি চায় নির্বাচনী সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্য সংস্কারগুলো ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পরে করতে। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বিএনপি মৃদু চাপ সৃষ্টির কৌশল নিলেও বাস্তবে সরকার ক্ষুব্ধ হয় এমন কোনো কাজ বিএনপি করবে না।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের ৩ দিন পর ৮ আগস্ট প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর থেকেই প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের সকল উপদেষ্টা রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর জোর দেন। কোনো কোনো উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের জন্য যতদিন দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনী সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় এবার যদি সংস্কারের কাজ শেষ না করা যায় তাহলে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই সংস্কারে জন্য যতদিন সময় লাগে তারা ততদিনই ক্ষমতায় থাকবেন। সংস্কার শেষ করার পর তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে কিছুটা সময় বেশি লাগলেও বিএনপি এ বিষয়ে তেমন আপত্তি করবে না। বিএনপির এক সময়ের জোটসঙ্গী জামায়াতও সরকারকে জানিয়েছে সংস্কারের জন্য যত সময় প্রয়োজন তারা তা মেনে নেবে।
এক বছর ৩ মাস আগে বিএনপি যে সংস্কার প্রস্তাব দেয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, সংবিধান সংশোধন, জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী না থাকা ও ন্যায়পাল নিয়োগ ইত্যাদি। এই সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে জনমত তৈরির জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে আসছে দলটি। এ বিষয়ে জনমত বৃদ্ধি করতে গণসংযোগ কর্মসূচি ক্রমেই জোরদার করা হচ্ছে। এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে মনে করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল বিএনপির প্রশংসা করেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করে এক বছর ৩ মাস আগে। এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে।
বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- ১. একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত সব অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা। ২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য একটি ন্যাশনাল রিকনসিলেশন কমিশন গঠন করা। ৩. একটির্ াচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। ৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা। ৫. পরপর দুই মেয়াদের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
৬. বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন করা। ৭. সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা। ৮. বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োাগ আইন-২০২২’ সংশোধন করা। ৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করা। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ভেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা। ১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিসিয়াল কমিশন গঠন করা। ১১. একটি প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রশাসন পুনর্গঠন করা। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি মিডিয়া কমিশন গঠন করা।
১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অর্থপাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ করা। ১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ‘ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার’ অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা। ১৫. বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করা। ১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা। নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা। পাটকল, বস্ত্রকল, চিনিকলসহ সব বন্ধ শিল্প পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া। প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন, মর্যাদা ও কর্মের নিরাপত্তা এবং দেশে বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রে হয়রানিমুক্ত সেবা প্রাপ্তি ও ভোটাধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা। ১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা।
১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া। বাংলাদেশের ভূখ-ের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না এবং কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।
২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা। ২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা। ২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা এবং তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যার যার অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করা। ২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা।
২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া। ২৫. চাহিদাভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া। ২৬. সবার জন্য স্বাস্থ্য এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’ এর আদলে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা। সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালু করা ২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে কৃষিপণ্যের জন্য সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন এবং গবেষণার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট রপ্তানিমুখী কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প খাতকে প্রণোদনা দেওয়া।
২৮. দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে সড়ক, রেল ও নৌপথের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সারাদেশে সমন্বিত বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। দেশের সমুদ্রবন্দর ও নৌবন্দরসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। ২৯. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও ক্ষতি মোকাবিলায় টেকসই ও কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণ করা। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। নদী ও জলাশয় দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এবং বন্যা ও খরা প্রতিরোধে খাল ও নদী খনন ও পুনর্খনন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। সামুদ্রিক সম্পদের বিজ্ঞানসম্মত জরিপ ও মজুতের ভিত্তিতে তা আহরণ এবং অর্থনৈতিক ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া।
৩০. তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগকে প্রাধান্য দেওয়া। মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তি কমিশনের কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রায়োগিক সুযোগ সমৃদ্ধ করা। এবং ৩১ নম্বর দফায় রয়েছে- জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে শহরে ও গ্রামে কৃষিজমি নষ্ট না করে এবং নগরে জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপ হ্রাস করে পরিকল্পিত আবাসন ও নগরায়ণের নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। পর্যায়ক্রমে দেশের সব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন নিশ্চিত করা।