একসময় বার্ষিক পরীক্ষার পর সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যবস্থাপনায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে।এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা আবারো ফিরে আসছে।
দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলে ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ২০১০ সালে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা চালুর পর পৃথকভাবে পরীক্ষা নিয়ে বৃত্তি দেওয়ার পদ্ধতি বাতিল করা হয় করে,পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ফলাফলের ভিত্তিতে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বৃত্তি দেওয়া হত।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল রেখে “জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১” বাতিল করেছে বর্তমান সরকার।উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি-না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, এটা নতুন কিছু না। পুরোনো পদ্ধতিতে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়।
ফুয়াদ