সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত
তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ শুক্রবার সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন সাদপন্থীরা। পূর্ব ঘোষণা দিয়েই তারা দখলে নিয়েছে মারকাজ মসজিদ। এ জন্য ভোর থেকে ওই স্থানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই দফায় আয়োজিত হবে। প্রথম দফার ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।
তবে ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা বলেন, ‘দেশে ইজতেমা একবারই হবে, দু’বার নয়। টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
অন্যদিকে ৯ নভেম্বর এক ভিডিও বার্তায় সাদপন্থি ইমাম মুফতি আজিমুদ্দিন শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের কাকরাইল মসজিদে না আসার আহ্বান জানান।
এরপর গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জুবায়েরপন্থিরা বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীদের মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে মসজিদ এলাকায় ভোর থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
রমনা জোনের ডিসি মো. মাসুদ আলম (বিপিএম) জানান, জুবায়ের পন্থীরা চার সপ্তাহ অবস্থান করেছিল। আজ তারা মসজিদে নিজেদের অবস্থান ছেড়ে দিল। এখন দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে সাদ পন্থীরা। যাতে করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো অবনতি না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পূর্বের মতই তারা যেমনটি নিয়ম ছিল যে সাদপন্থীরা ২ সপ্তাহ এবং জুবায়ের পন্থীরা চার সপ্তাহ অবস্থান করবে। আজকের শান্তিপূর্ণভাবে বের হয়ে গিয়েছে জুবায়েরপন্থীরা, তারপর সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করেছে সাদপন্থীরা।
আর কে