ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের

নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই।

যেটা নিয়ে ভারতের বলা প্রয়োজন সেটা হলো গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা। বরং এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিবিসি হিন্দির নেওয়া সাক্ষাৎকারে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে এমন কথাই বলতে দেখা যায় অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে। এ সময় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশ-ভারতের প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন নাহিদ।

সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচারের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এগুলো বন্ধ করা ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আলোচনা করা উচিত।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করলেও ভারত করেনি। এছাড়া গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল এবং ভারতে পালিয়ে গেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে ভারতের সহযোগিতা করা উচিত। এতে করে যেসব মানুষ নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার ও সাধারণ মানুষ ভারতকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করবে।

এ সময় বিবিসির সাংবাদিক নাহিদ ইসলামকে জানান, অনেক জায়গায় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তারা জেনেছেন এবং তারা প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না।

জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যা হয়েছে তার সবই নজরে রয়েছে। তিনি দাবি করেন, যদি অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিত তাহলে সহিংসতা আরও বেশি হত। এমনকি ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুর্গাপূজার মতো বড় উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া সংখ্যালঘুরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার আশ্বাসে সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আগের সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করেছে। ওই সময় সরকারের ওপর সংখ্যালঘুদের আস্থা আরও কম ছিল। কিন্তু এখনও যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। এজন্য তাদের সময় দিতে হবে।

এ সময় নাহিদ ইসলামকে প্রশ্ন করা হয় আওয়ামী লীগের পতন হওয়ায় বাংলাদেশে উগ্র সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। বিষয়টি আওয়ামী লীগ ও ভারতের একটি প্রোপাগান্ডা। তারা এসব বলে মানুষকে বোঝাত যে তারা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশে উগ্রবাদিতা বাড়বে।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের এই প্রোপাগান্ডা ভারত সমর্থন দিয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণের বদলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ থাকা না থাকা নিয়ে তারা কথা তুলছে। তিনি বলেন, ভারতে বিজেপি না কংগ্রেস কে ক্ষমতায় আছে সেটি বাংলাদেশের মানুষ দেখে না।

শহিদ

×