পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বুধবার লালবাগে পলিথিন কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কয়েকটি পলিথিন কারখানা সিলগালা করা হলে শ্রমিকরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ঢাকার চকবাজার এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এতে ৩টি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করা হয় এবং ২,৪৬০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ অংশ নেয়। পলিথিনবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ‘বাংলাদেশ-আমেরিকা মৈত্রী প্রকল্পে প্রথম অনুদান প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিশু অধিকার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে কাজ করতে হবে। সবাইকে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে আসতে হবে।
বন্যহাতি সুরক্ষায় রেসপন্স টিম ॥ হাতির চলাচলের পথ বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন জোন চিহ্নিত করতে ৫টি এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হবে। যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাই বন্যহাতির সুরক্ষায় হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বন্যহাতির সুরক্ষায় হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের কেইপিজেড এলাকায় হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। হাতির চলাচলের পথ বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন জোন চিহ্নিত করতে হবে। কোরিয়ান ইপিজেড, বন বিভাগ, আইইউসিএন, জেলা প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে কাজ করবে।’
বুধবার সচিবালয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই সভায় চট্টগ্রামের কেইপিজেড ও আশপাশের এলাকায় হাতির সুরক্ষা এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে বিশেষজ্ঞ কমিটির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।