.
নাগরিকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন, জনবান্ধব ও নির্ঝঞ্ঝাট ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা জেলার তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের তেজতুরী বাজার মৌজার ভূমিসেবাকে পাইলটিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) সেবা শতভাগ অনলাইনে পরিশোধের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই সেবা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
তিনি বলেন, ‘ভূমিসেবা পুরোপুরি হয়রানি ও জনবান্ধব করতে মিউটেশন, এলডি ট্যাক্স ও খতিয়ান সেবা সম্পূর্ণ অনলাইনে হচ্ছে। দেশ-বিদেশে যে কোনো স্থান থেকে এসব সেবা ঘরে বসে বা কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করা যাচ্ছে। এলডি ট্যাক্স শতভাগ অনলাইনে পরিশোধ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ভূমিসেবা ক্যাম্পে কর পরিশোধ কার্যক্রমে মালিকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, এতে করে সাধারণ মানুষ অনলাইনে সেবা গ্রহণে আরও অনুপ্রাণিত হবেন।’
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও ফার্মে ভূমি মন্ত্রণালয় ও ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের তেজতুরী বাজার মৌজার অনলাইনে শতভাগ এলডি ট্যাক্স পরিশোধ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদসহ স্থানীয় ভূমি মালিকরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর সারাদেশের মানুষের জন্য ভূমিসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পাইলটিং হিসেবে তেজগাঁওয়ের তেজতুরী বাজার মৌজাকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা জেলার ১৯টি সার্কেলের সব মৌজা দ্রুত অনলাইনে শতভাগ ভূমিসেবা চালু করা হবে। এ মৌজার সকল হোল্ডিং ইতোমধ্যে সিস্টেমে এন্ট্রি হয়েছে। আড়াই হাজারের বেশি ভূমি মালিককে ‘ভূমিসেবা কলসেন্টার’ থেকে কল করে বকেয়া কর পরিশোধের বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
এখনো অনলাইন সিস্টেমে নিবন্ধন করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেননি, এ রকম প্রায় ২ হাজার ৫০০ ভূমি মালিককে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার বিষয়ে এলাকায় মাইকিং করে, মসজিদে জুমার নামাজের খুৎবার পরে বয়ানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তেজতুরী বাজার মৌজার যে কোনো নাগরিক িি.িষফঃধী.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে এ মৌজায় অবস্থিত হোল্ডিংয়ের এলডি ট্যাক্স ঘরে বসেই নির্বিঘ্নে ও শতভাগ অনলাইনে দিতে পারবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে দাখিলা পেয়ে যাবেন। ঘরে বসে নাগরিক পরিশোধিত কর তাৎক্ষণিক জমা হবে সরকারি কোষাগারে অটোমেটেড চালানের মাধ্যমে। ভূমি মালিকদের এ সেবা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এলডি ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে মালিকানা নিশ্চিতকরণের পরামর্শ দেন তিনি।
পরে ভূমি উপদেষ্টা অনলাইনে এলডি ট্যাক্স প্রদানকারী, ভূমি কুইজ বিজয়ী, ভূমি কর্মী ও অ্যাম্বাসেডরদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন। তিনি নাগরিক ভূমিসেবা ক্যাম্পের কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন ও আগত ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।