রাধাকৃষ্ণের যুগল প্রতিমা স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়
একই স্পটে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বিরল দৃশ্য উপভোগের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমার উৎসব, পূজা ও পুণ্যস্নানকে ঘিরে এখনও চলছে সাজ সজ্জার কাজ। এ উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর চলছে শেষ প্রস্তুতি। আগামি শুক্রবার সন্ধ্যায় এখানে সমাবেশ ঘটবে রাসভক্ত হাজারো পূণ্যার্থীর। তারা রাতভর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিলিত হবে।
শনিবার প্রত্যুষে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। বিকেল থেকে কলাপাড়া পৌরশহরের মদন মোহন সেবাশ্রমে রাসমেলা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। এখন শেষবারের মতো তুলির নিপুণ ছোঁয়ায় রাধাকৃষ্ণের যুগল প্রতিমা সাজানো হচ্ছে। চলছে প্রতিমা স্থাপনের কাজ। তিথিমতে ভরা পূর্ণিমার জোয়ারে শুক্রবার ভোর থেকে পূণ্যস্নানে অংশ নিবেন আগত ভক্তরা। পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় এবছরও হাজার হাজার রাসভক্ত পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
কুয়াকাটা রাসপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নিহার রঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থ যাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। শুক্রবার সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নাম কীর্তন, ভাগবৎ পাঠ ও আরতি। শ্রীকৃষ্ণের লীলা কীর্তনে অংশগ্রহণ করবেন ভারতের কবিতা ঘোষ।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সূর্যোদয়ের আগেই রাস পূর্ণিমা লগ্ন অনুযায়ী সাগর সৈকত কুয়াকাটায় পাপ মোচনের লাভের আশায় নামবে ভক্তদের ঢল। একই দিন সৈকতে অনেকেই আবার ভিন্ন ভিন্ন মানত করা পূজা দিবেন পুরোহিত এনে। নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষও মিলিত হবে রাস পূজা, সাগরে পূণ্যস্নানে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান৷ দুদিনব্যাপী রাস মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে রাতযাপন করলে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগত পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সর্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে আমরা ধারণা করছি প্রচুর লোকের সমাগম হবে। কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক থানা পুলিশ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন।
রাজু