ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

হাসিনার দায় বঙ্গবন্ধুর! মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন মাহফুজ

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

হাসিনার দায় বঙ্গবন্ধুর! মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে যা বললেন মাহফুজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

গণঅভ্যুত্থানের মাধমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সব জায়গা থেকে নামিয়ে ফেলা হয় তার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু ম্যুরালও ভেঙে ফেলা হয়। আর এর কারণ হিসেবে সামনে আসে শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসন। তাহলে শেখ হাসিনার কৃতকর্মের দায় নিতে হবে শেখ মুজিবুর রহমানকে?

বুধবার (১৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে শেখের ছবি সরানো হয়েছে (কর্মকর্তারা সরিয়েছেন) যে শাসন মেয়ে করেছেন ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও তার একাত্তর-পরবর্তী চেতনার কথা বলে। তার বাবাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল, কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে তাদের দুজনের ছবি, ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলেছেন।’

মাহফুজ আলম জানান, কেউ যদি সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর কারণে আক্ষেপ প্রকাশ করেন, তবে তিনি এ গণ-অভ্যুত্থান ও গণমানুষের চেতনারই নিন্দা। 

তিনি বলেন, ‘পতিত শেখরা! শেখ মুজিব ও তার কন্যা (আরেকজন শেখ) তাদের ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্য জনগণের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন। তাদের একমাত্র পার্থক্য, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন, যে জনপ্রিয়তা হাসিনার ছিল না। জনগণ পাকিস্তানি নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার (শেখ মুজিব) নেতৃত্ব অনুসরণ করেছিলেন কিন্তু একাত্তরের পর তিনি নিজেই একজন নির্যাতনকারী হয়ে ওঠেন। মুজিববাদের প্রতি তার সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় একাত্তরের পর পঙ্গু ও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নিজের ফ্যাসিবাদী ভূমিকার কারণে ১৯৭৫-এ তার মৃত্যুতে মানুষের শোক-অনুতাপ ছিল না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না। আমরা এখানে এসেছি, ঐতিহাসিক অসংগতি ও অপব্যাখ্যাগুলো দূর করতে। মনে রাখতে হবে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। আবার, কোনো মুক্তিযোদ্ধাও যদি একাত্তরের পর কোনো অন্যায় করে থাকেন, তার বিচার ও সাজা হওয়া উচিত। স্বাধীনতাযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন বলেই তাদের এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া উচিত নয়। ৪৭ ও ৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা আমাদের সবার স্মৃতিতে থাকুক অম্লান।’

এম হাসান

×