ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

দুই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শেখ হাসিনা-সাহাবুদ্দিনের সম্পর্কের চরম অবনতি!

প্রকাশিত: ১২:৪১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৬:০৯, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

দুই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শেখ হাসিনা-সাহাবুদ্দিনের সম্পর্কের চরম অবনতি!

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনে এক দফা দাবির মুখে ছোট বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে সামরিক হেলিকাপ্টারেযোগে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।সর্বশেষ তথ্য বলছে শেখ হাসিনা দিল্লির লুটিয়েন্স গার্ডেনে অবস্থান করছেন।

 

 

তবে ভারতে যাওয়ার আগেই, হাসিনা ও প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের দুই গুরত্বপূর্ণ ইস্যুতে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে।  সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে। তথ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ এবং শ্রম আইন সংশোধনছিল এই সম্পর্কে টানাপোড়েনের মূল কারণ।

তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, বিচারক নিয়োগ নিয়ে গণভবন থেকে বঙ্গভবনে পাঠানো সারসংক্ষেপে প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, যা তাকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করে তোলে। পাশাপাশি, শ্রম আইন সংশোধনেও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা না করেই তার স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা ছিল, সম্পর্কের অবনতির আরেকটি কারণ।

 

দৈনিক রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এর বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

“জনতার চোখ” প্রতিবেদনে বলছে - রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলে দেশে ফেরার পর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে চীন ও ভারত সফরের পর এই রীতি উপেক্ষা করে চলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন আর বঙ্গভবনে যাননি, কারণ তাদের (হাসিনা-সাহাবুদ্দিন) মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। আমি কিছুই জানি না, অথচ আমাকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে বলা হচ্ছে। প্রচলিত নিয়ম উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্টকেই পুতুল বানানো হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রথা উপেক্ষা করার অর্থ কী?

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিচারক নিয়োগের বিষয়টি সামনে এলে, গণভবন থেকে বঙ্গভবনে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এতে প্রেসিডেন্ট  বিরক্ত হন, কারণ আইন মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা দেখে তিনি মনে করেন, নিয়ম ভেঙে তাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে চাপ দেয়া হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৮ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট একটি চিঠি পাঠিয়ে জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিবেদন আরো বলছে, এটি একটি দীর্ঘদিনের প্রথা, যা অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শের পর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে পাঠানো সারসংক্ষেপে প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত বিরক্ত হন এবং সই না করেই একটি পাল্টা চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিতে প্রেসিডেন্ট লিখেন, আমি কিছুই জানি না, অথচ আমাকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে বলা হচ্ছে। প্রচলিত নিয়ম উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্টকেই পুতুল বানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে তিনি জানতে চান, দীর্ঘদিনের প্রথা উপেক্ষা করার অর্থ কী? এছাড়া শ্রম আইন সংশোধন নিয়েও মনোমালিন্য বাড়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের মধ্যে। এর কারণ, শ্রম আইন সংশোধন নিয়েও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা না করে, তার স্বাক্ষর নেয়ার জন্য সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিল। এতে প্রেসিডেন্ট আরো ক্ষুব্ধ হন। এসবই বিস্তারিত উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

ফুয়াদ

×