ইসলামি ব্যক্তিত্ব, আলোচক ও সক্রিয় সামাজিক কর্মী শায়খ আহমাদুল্লাহ
বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শায়খ আহমাদুল্লাহ সংবিধান সংশোধন নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা ও প্রস্তাবানার কথা জানিয়েছেন। এর আগে সংবিধান সংশোধন কার্যক্রমে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনাসভায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ইসলামি ব্যক্তিত্ব, আলোচক ও সক্রিয় সামাজিক কর্মী শায়খ আহমাদুল্লাহ। তবে আলোচনায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় তার পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনাসহ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ তাঁর পোস্টে বলেন, “দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণকারী একটি সংবিধান আমাদের প্রত্যাশা। যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হবে। জাতীয় জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন।”
পোস্টে তিনি সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় তাঁরা বিবেচনা করার আশা ব্যক্ত করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি ৪ টি প্রস্তাবনা দেন। তাঁর প্রস্তাবিত ৪টি প্রস্তাবনা হলো:
১. সংবিধানে এদেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধবোধ প্রতিফলিত হতে হবে। সংবিধানে এরকম কোনো ধারা-উপধারা সংযোজন করা যাবে না এবং থাকলে অপসারণ করতে হবে, যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী।
২. সংবিধানের শুরুতে “আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি” এই বাক্য পুনঃসংযোজন করতে হবে, যা বিগত সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছে।
৩. সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের বিলোপ করতে হবে। কারণ এটি এ দেশের মানুষের চিরায়তের মূল্যবোধের বিরোধী।
৪. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
নাহিদা