ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

জামালপুরে হচ্ছে সোলার পার্ক গড়ে উঠবে ২০ হাজার একর জমির ওপর

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১২ নভেম্বর ২০২৪

জামালপুরে হচ্ছে সোলার পার্ক  গড়ে উঠবে ২০ হাজার একর জমির ওপর

.

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জামালপুরে একটি সোলার হাব করার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার সেটিকে হাব নয় বরং সোলার পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জে চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার একর জমির ওপর হবে সৌরবিদ্যুতের বিশাল পার্ক। মূল ভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত ৩৪৮ একর খাস জমিতে ১০০ মেগাওয়াট করে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। আবারও দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এর কাজ শুরু হবে। এ ছাড়াও নদীর অপর প্রান্তে জেগে ওঠা প্রায় ২০ হাজার একর চর এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার জামালপুরে ৫০০০ থেকে ৬০০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায় ২০ হাজার একরের বিশাল চর রয়েছে ওই এলাকায়। এই চরকে কাজে লাগাতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সোলার হাব করার পরিকল্পনা করে। যার ধারাবাহিকতায় জেলার মাদারগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াটের একটি  সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ৫ মে প্রায় ৩২৬ একর ভূমির লিজ দলিল এবং রেজিস্ট্রেশন করা হয়। একই বছরের ১০ আগস্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা হয়নি। একই এলাকায় আরও একটি ১০০ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট তৈরিতেও সরকারের শেষ আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ‘মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্ট’টি বাস্তবায়নের জন্য বি-আর পাওয়ারজেন কোম্পানি লিমিটেড ও সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড (সিআইআরই) চায়নার সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বি-আর পাওয়ারজেনের পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ধূর্জটি প্রসাদ সেন ও সিআইআরইয়ের পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝিউসেন ওয়াং স্বাক্ষর করেন। কিন্তু কোনো ধরনের প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র না করেই কাজ দেওয়ায় ওই দুই প্রকল্প বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জনকণ্ঠকে বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ-জ্বালানি সরবরাহ আইনে (বিশেষ বিধান) অনুমোদিত ৪৩টি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়মুক্তি আইন নামে পরিচিত এই বিধানের আওতায় টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্প অনুমোদন দিত আওয়ামী লীগ সরকার। মোট তিন হাজার ৬৩০ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি কুইক রেন্টাল প্রকল্প এবং ৩১টি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প। আমরা আবার সব রিভিউ করব। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার জামালপুরে ৫০০০-৬০০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছি। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি ওখানে ৬ হাজার মেগাওয়াটের বিশাল সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র করার। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন করেছে। তারা গবেষণা করে একটি ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছে। পরিবেশের ব্যাপারে (জটিল বিষয়) নিয়ে তারা যে স্টাডি করেছে, তার ইতিবাচক ফল পেয়েছি। তবে যা করা হবে অবশ্যই প্রকৃতির নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে করা হবে। জীববৈচিত্র্যে যেন কোনো প্রভাব না পড়েÑ আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। ওই এলাকার কৃষিতে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে সেক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য থাকবে। আমরা আশা করছি, শুধু জামালপুরের এই চরাঞ্চলেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারব। তিনি বলেন, আমাদের দেশে রিনিউয়েবল এনার্জি উৎপাদন করা বেশি সমস্যা নয়, কিন্তু এটি ব্যবস্থাপনা করাটাই আমাদের জন্য বেশি কঠিন। এর জন্য যুক্তিসঙ্গত দামে স্টোরেজ তৈরির কাজ চলছে। আশা করি, সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সৌরবিদ্যুতের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ওই বছরের শুরুতেই স্বাক্ষরিত হয় সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্কের। পাশাপাশি আরও অন্তত ৫টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ওই বছরই। এর মধ্যে ছিল বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পও। এসব প্রকল্প থেকে বছরে অন্তত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক দরে কাজ না দেওয়ায় অর্থাৎ দায়মুক্তির চুক্তির কারণে বাতিল করা হয়েছে প্রায় সব প্রকল্প।
বাতিল হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির যত প্রকল্প ॥ দায়মুক্তি আইনের আওতায় হওয়ার কারণে সৌরবিদ্যুতের যেসব প্রকল্পের চুক্তি বাতিল হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে ৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিরাজগঞ্জ সোলার পার্ক প্রকল্পের পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ), বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে (ইজজও) ২ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি ট্রলি মাউন্টেড সোলার ইরিগেশন সিস্টেম, ২ কিলোওয়াট ক্ষমতার ১২টি পোর্টেবল সোলার ধান মাড়াই যন্ত্র এবং ১.৫ কিলোওয়াট ক্ষমতার সোলার ড্রিংকিং ওয়াটার প্লান্ট সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হয়। এ ছাড়াও পরিকল্পনায় থাকা, ২২ কিলোওয়াট ক্ষমতার দুটি রুফটপ সোলার স্থাপন এবং যে কোনো একটি রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে রুফটপ সোলার প্রকল্প স্থাপন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ফ্লোটিং সোলার প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদন ও ফ্লোটিং সোলার প্রকল্প স্থাপনে সহায়তা। পানি বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি ম্যানুয়াল স্লুইচ গেটকে ফ্লোটিং সোলারের মাধ্যমে অটো স্লুইস গেটে রূপান্তর করা। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, তথ্য বিনিময় এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া সোলার পাওয়ারড কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনও এ চুক্তির আওতায় সহায়তার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। এর বাইরেও পাবনা ৬৪ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পের কাজ চলছে। যা থেকে আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে ৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এর বাইরে বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা মোতাবেক জানা যায়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে একটি ৪০ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের পাশাপাশি পায়রা ৫০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাবনার হেমায়েতপুরে ৩৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ২৪৩ মেগাওয়াট সৌর অথবা বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা।
নতুন একগুচ্ছ পরিকল্পনা ॥ আগের সব প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত হলেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসতে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। আগামী কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪০টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আহ্বান করা হচ্ছে দরপত্র। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিদ্যুৎ বিভাগ। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আহ্বান করা হবে দরপত্র। যেসব কোম্পানি সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করবে এবং সর্বনিম্ন দামে বিদ্যুৎ দিতে পারবে, সেই প্রতিষ্ঠানকেই দেওয়া হবে কাজ।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী, সৈয়দপুর, জামালপুর, পঞ্চগড়, ঈশ্বরদী, গোপালগঞ্জ, ভালুকা, কক্সবাজার, চকোরিয়া, পীরগঞ্জ, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী, টাঙ্গাইলসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রেরই উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৫০ মেগাওয়াট। কোনো কোনো কেন্দ্রের সক্ষমতা সাপেক্ষে বাড়তে পারে উৎপাদনও। এক্ষেত্রে জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালনের জন্যও নেওয়া হবে ব্যবস্থা। তবে কেউই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাজ পাবে না।
নতুন করে অন্তত ৪০টি প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে গেছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জনকণ্ঠকে বলেন, এই প্রকল্পগুলো যিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, তিনি কয়দিন দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি ফিরেছেন। এই সপ্তাহেই আগ্রহী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে। আশা করছি আগামী সপ্তাহেই আমরা দরপত্র আহ্বান করব। সব ঠিক থাকলে নতুন বছরের শুরুতেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, কোনো রকমের তদবিরে কাজ পাবে না কেউ। সবাইকে দর প্রস্তাবের মাধ্যমেই কাজ পেতে হবে। এক্ষেত্রে যার দর সবচেয়ে কম হবে তাকেই কাজ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জমি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো কে দেবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নির্মাতা কোম্পানিকেই করতে হবে। ঠিক কত মেগাওয়াটের কেন্দ্র হবে এ বিষয়ে এখনো আমরা নিশ্চিত নই। তাই বিদ্যুতের দাম কি হবে, সে বিষয়েও কোনো কথা এখনি বলা যাচ্ছে না।  ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারে সোলার প্যানেলের দাম কমে আসছে। প্যানেলের দাম কমে আসাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় কমবে সেটা স্বাভাবিক। আর সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আর বারবার জ্বালানিও কিনতে হয় না। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য সহনীয় পর্যায়ের দাম যারা দিতে পারবে তারাই কাজ পাবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ১৪৪টি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা ৩১ হাজার ১৪৫ মেগাওয়াট। নতুন এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিপ্লব আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে  হবে। জনগণ যেন সঠিক দাম, মাপ ও মানে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ, প্রাথমিক জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেবা পায় এবং দুর্নীতি-লুণ্ঠনের শিকার না হয় সেজন্য বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহের সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা, যৌক্তিকতা ও জবাবদিহিতা তথা জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে অন্যায্য ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদানে ভর্তুকি বন্ধ করে জনগণের ওপর মূল্য বৃদ্ধির চাপ কমাতে হবে। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে চুক্তি অনুাযায়ী বিক্রয়মূল্য বেশি কেন তা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে দাম কমানোর দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চুক্তি ও সম্ভাব্য চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে বলে আমরা বলে আসছিলাম। অন্তর্বর্তী সরকার এটি আমলে নিয়েছে সেজন্য ধন্যবাদ। তবে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক দরে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলে আর কারও দিকে আঙ্গুল তোলার সুযোগ থাকবে না বলে আমি মনে করি।

 

×