এবার ডুমুরিয়া ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে জামায়াতে ইসলামী।উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট জামায়াত হিন্দু শাখার উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রোববার বিকালে উপজেলা শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে কমিটির সভাপতি হয়েছেন হিন্দু নেতা কৃষ্ণপদ নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ।
১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ডা. হরিদাস মণ্ডল, প্রশান্ত মণ্ডল ও কানাইলাম কর্মকারকে সহ-সভাপতি, বুদ্ধদেব মণ্ডলকে সহ-সেক্রেটারি, গৌতম মণ্ডলকে অর্থ সম্পাদক, অনুপম সরকার, পুলকেশ মণ্ডল, বিপ্লব সরকার ও বিপ্লব সরকারকে সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর দেশকে অর্থবহ স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈষম্যহীন, সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশ গড়তে চাই। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্তাব্যক্তিগণ, দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে আইনের শাসন, সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
উপজেলা জামায়েতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ইমরান হুসাইন, সহ-সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম ও মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্ম-পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির খুলনা জেলা শাখার সভাপতি মো. বেলাল হুসাইন রিয়াদ, জামায়েত নেতা মো. গাজী সাইফুল্লাহ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মো. মোসলেম উদ্দীন, স্বদেশ হালদার, সঞ্জিত রায় প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও বিএম আলমগীর হোসেন।
নির্বাচিত কমিটি আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ফুয়াদ