.
এমনিতেই এবারের জলবায়ু সম্মেলনের গুরুত্ব বেশি ছিল শীর্ষ এজেন্ডার কারণে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনের শীর্ষ আলোচ্যসূচিতে রয়েছে অর্থায়ন। বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ তাই এই সম্মেলনের জন্য অপেক্ষা করছিল, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ট্রিলিয়ন ডলারের চাহিদা কতটা পূরণ করতে সক্ষম হয় তা দেখার জন্য। তার ওপর এ বছরের রেকর্ড উষ্ণায়ন, তাপপ্রবাহ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যুক্ত হয়েছে আলোচনার ইস্যুগুলোতে। এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ‘পাপুয়া নিউগিনি’ এবারের জলবায়ু সম্মেলন বয়কট করেছে। এই প্রথম কোনো দেশের বয়কটের ইস্যুকে ছাপিয়ে গেছে সদ্য অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্যু এখন এবারের আলোচনার সর্বাগ্রে উঠে এসেছে। তার সিদ্ধান্তের ওপর-ই নির্ভর করছে ভবিষ্যতের জলবায়ু আলোচনা কোন দিকে যাবে। সেই বিষয়টি আর এসব কারণেই এবারের জলবায়ু সম্মেলন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে ২০২৪ সাল হতে যাচ্ছে এই শতাব্দির সবচেয়ে উষ্ণ বছর। কিন্তু এই উষ্ণায়নের ইস্যুকেও ছাপিয়ে এখন প্রধান আলোচ্য ইস্যু হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। সারাবিশ্বে ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন জলবায়ু বিরোধী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। কারণ প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। শুধু তাই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দায়ী হওয়া সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানির প্রসারকে তিনি উৎসাহিত করেছেন। অথচ গত চার বছর ধরে বাইডেন প্রশাসন তার বিপরীতে জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে কাজ করে গেছেন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরিয়ে এনেছেন। জলবায়ু ইস্যুর বিষয়গুলো তদারকি করার জন্য তার দলের এক শীর্ষ নেতাকে দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তেল-গ্যাস উৎপাদন কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। এখন বিভিন্ন দেশের জলবায়ু প্রতিনিধিরা তাকিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন পথে এগোন। তার দিকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কার্বন দূষণকারী (দ্বিতীয়) দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কী দাঁড়ায়? তাই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তার বিজয় এখন জলবায়ু আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের ২৯তম আসর। সম্মেলনে বিশ্বের শতাধিক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ যোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যোগ দিচ্ছেন এবারের সম্মেলনে। তিনি আজ সোমবার আজারবাইজানের উদ্দেশে রওনা হবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ১১-২২ নভেম্বর পর্যন্ত বাকুতে ২৯তম জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ১১-১৪ নভেম্বর তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, এবং সে কারণে বাকুতে বাংলাদেশ তার দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কথা বলবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির সবুজ জলবায়ু তহবিল এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া, বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলো থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইতে পারে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণের পরে এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। এর আগে, ড. ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক সফর করেছিলেন। এবার ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি আজারবাইজান যাচ্ছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, বাকুতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরব আমিরাতের পর এবার দ্বিতীয় দফায় আরও একটি তেল সমৃদ্ধ দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথম পর্যায়ে আজ থেকে শুরু হবে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠক। একই সঙ্গে চলবে বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণে হাইলেভেল সেগমেন্ট। আর দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে মুল দরকষাকষি মন্ত্রি পর্যায়ের বৈঠক। ওই বৈঠক শেষেই পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে (প্লেনারি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিগত ২০২৩ সালের মতো, ২০২৪ সালেও দেশে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রলয়ঙ্করী তা-ব দেশে বিশ্ব। জীবাশ্ম জ্বালানির অব্যাহত ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আবহাওয়ার তীব্রতা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশকে সংকটে ফেলেছে। তাপদাহ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খড়া, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুযোগ শুধু বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে ফেলেনি, প্রাণহানিসহ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সম্পদ ও অর্থনীতির। সর্বশেষ, গত অক্টোবরে স্পেনের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশের মানুষও এ বছর চরম আবহাওয়ার বিপন্নতা দেখেছে। বছরের শুরুতে তীব্র শীতের পর, প্রচ- দাবদাহে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। দীর্ঘস্থায়ী এই দাবদাহের পর বাংলাদেশ প্রলয়ঙ্করী বন্যার মুখোমুখি হয়। দেশের একাধিক অঞ্চলে একাধিকবার বন্যা দেখা দেয়। এরমধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও ভয়াবহ ছিল দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যা। ওই বন্যায় ওই অঞ্চলের ১১টি অঞ্চল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মন্থরগতির দীর্ঘস্থায়ী এই ঘূর্ণিঝড় শুধু রেকর্ড বৃষ্টিপাতই ঘটায়নি, ৫০ ঘণ্টা দেশের ভূখ-ে অবস্থান করে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুধু বাংলাদেশই নয়, এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটেছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার অব্যাহত থাকার কারণেই এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। এর ফলস্বরূপ ২০২৪ সাল হতে যাচ্ছে এই শতাব্দীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে এ বছরের বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। ফলে অন্য আর ১০টি ইস্যুর সঙ্গে প্রাকৃতিক দুযোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বাকুতে উন্নত দেশগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন।
বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। গত বছর (২০২৩) বিশ্বে নির্গত কার্বনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০.৬০ বিলিয়ন টন। চলতি বছর কার্বন নির্গমনের এই রেকর্ড ভেঙে যাবে। প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে বর্তমানে বায়ুম-লে ৫০ শতাংশ বেশি কার্বন অবস্থান করছে। যে কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে বিশ্বের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা খুবই বেদনাদায়ক মন্থর।
গত বছর (২০২৩) দুবাইতে অনুষ্ঠিত ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিশ্ব জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ক্রমান্বয়ে সরে আসবে। প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণের বিরুদ্ধে অন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তিন দশক ধরে চলা জলবায়ু আলোচনায় এটি দুর্বল হলেও ছিল মাইলফলক সিদ্ধান্ত। যদিও বেশির ভাগ দেশই জীবাশ্ম জ্বালানির পর্যায়ক্রমে অবসান চেয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে গত এক বছরে অগ্রগতি তেমন আশাপ্রদ নয়।
তার ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হয়ে আসায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই সম্মেলনে ইস্যুটিকে আবার নতুন করে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিল ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ। কিন্তু ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভনডার লেইয়েন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যুয়েল ম্যাক্রো শেষ পর্যন্ত সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে সম্মেলনের পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, শেষ পর্যন্ত ওই ইস্যুটি নতুন করে আর আলোচনায় ফিরে নাও আসতে পারে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে আসার গত বছরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিবেশবাদীরা এবার সোচ্চার হবে বলে জানিয়েছেন।
এসব আলোচনা সত্ত্বেও এবারের সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডা অর্থায়নের দিকেই নজর থাকবে বিশ্ববাসীর। বিশ্ব বর্তমানে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তীব্র অর্থ সংকটে ভুগছে। উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দিচ্ছে না। অথচ প্রতিবছরই অর্থের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
এই অবস্থায় গত কয়েক বছর ধরই নতুন অর্থায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিল জাতিসংঘ। এবছর সেই লক্ষ্য চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। নিউ কালেকটিভ কোয়ান্টিফাইড গোল (এনসিকিউজি) নামের এই লক্ষ্য এ বছর চূড়ান্ত করার পালা। উন্নয়নশীল দেশগুলো এই লক্ষ্য চূড়ান্তের অপেক্ষায় আছে। এ কারণেই এবারের সম্মেলনে অর্থায়নকে শীর্ষ এজেন্ডা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এবারের কনফারেন্স অব দ্য পার্টি (কপ) হচ্ছে অর্থায়নের কপ।
ফলে সবার দৃষ্টি কপ-২৯ এর দিকে। এই এজেন্ডা নিয়েই এবছর জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ সমীক্ষা থেকে হিসাব এসেছে, বিশ্বব্যাপী চলমান জলবায়ু সংকট মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতি বছর ৫০০ বিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। যা উন্নত দেশগুলোর বর্তমান প্রতিশ্রুতির চেয়ে কমপক্ষে পাঁচগুণ বেশি। ২০২৫ সাল থেকে নতুন এই লক্ষ্য কার্যকর করার কথা রয়েছে। উন্নত দেশগুলো ২০২০ থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কোনো বছরই উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতির এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি।
আবার এই অর্থের উৎস নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। বর্তমানে বেশির ভাগ অর্থ প্রদান করা হচ্ছে বেসরকারি খাত ও বহুপক্ষীয় ব্যাংক থেকে। আর এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে ঋণ হিসাবে।
এবারের সম্মেলনে আয়োজক দেশ আজারবাইজান দরিদ্র দেশগুলো ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় ১০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দেবে।
প্রসঙ্গত, কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসের সংক্ষিপ্ত রূপ কপ। এটি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে প্রথম কপ সম্মেলন হয়। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ ইস্যুটি প্রথমবারের মতো সামনে আসে।