ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে!

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১০ নভেম্বর ২০২৪

পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে!

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রবল জনরোষের মুখে ৫ই আগস্ট ছোটবোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরেই দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে অন্তবর্তীকালীন ইউনুস সরকার।

 

 

 

 

ইউনূস সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বেরিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের একের পর এক  থলের বিড়াল।

বিগত সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম,লুটপাট,অগ্নিসংযোগ,বিরোধী দলকে দমন নীপিড়ন ও অর্থপাচারে দেশের অর্থনীতির সূচক, রাজস্ব আহরণ, রফতানি বাণিজ্য, ডলার সঙ্কট ও রিজার্ভ পরিস্থিতি ভয়াবহ ভয়াবহ পর্যায়ে নেমে আসে।

পাহাড়সম , লুটপাটের ক্ষত, দুর্নীতির বোঝা, পাচার , রিজার্ভ বিপর্যয়সহ নানা ঘা রেখে কেবল ছোটবোনকে নিয়ে পালিয়ে জানে বেঁচেছেন শেখ হাসিনা।ছলেবলে কৌশলে ঠকিয়েছেন দেশের মানুষসহ নিজ দলের নেতা কর্মীদের।

এরই মধ্যে শেখ হাসিনার এক পর এক কল রেকর্ড ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। যার জন্য কোন ম্যাজিক ট্রিকসই কাজ করছে না হাসিনার।ইতোমধ্যে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্রুনাল থেকে ১৮ই নভেম্বর এর মধ্যে শেখ হাসিনাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।তাছাড়া রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের  আইন উপদেষ্টা জানান,শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সরকার রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে ।

এছাড়াও সর্বশেষ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রবিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করার ডাক দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ওই এলাকায় দলটির নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।কিছু বিক্ষিপ্তভাবে নামতে চাইলেও ছাত্রজনতা তা প্রতিহত করে দেয়।ছাত্র জনতার এখন একটাই দাবি যত দ্রুত সম্ভব শেখ হাসিনাকে আইনের মুখোমুখি করে বিচার নিশ্চিত করা।

অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই অন্তবর্তীকালীন সরকার  বলেছিল,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মাধ্যমে সংস্থাটির সঙ্গে কাজ করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরিবর্তে যাতে সরাসরি বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ করতে পারে, সে জন্য ডব্লিউএইচওকে চিঠি দিয়েছে সরকার। চিঠিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আর্থিক ও ফৌজদারি অভিযোগে মামলা থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

তার মানে খুব শীগ্রই পুতলের দেশে ফেরার সম্ভবনা কম।অন্যদিকে জয় বিভিন্ন ইস্যুতে দলীয় নেতাকর্মীসহ লুটপাট ইস্যুতে বিতর্কিত হয়েই আছেন।তাই তারো দেশে ফেরার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।

অন্যদিকে   (৯ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘শতাব্দীর কণ্ঠস্বর তাজউদ্দীন আহমদ, কন্যার চোখে পুত্রের চোখে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিবেন কিন্তু তার জন্য রয়েছে কিছু  শর্ত।সোহেল তাজ মনে করেন,আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তখনই নেওয়ার প্রশ্ন আসবে, আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে যখন আত্মসমালোচনা করবে এবং আত্মোপলব্ধি করবে, তাদের কর্মকাণ্ডগুলো স্বীকার করবে এবং যারা আওয়ামী লীগকে এই পথে নেতৃত্ব দিয়ে ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছে তাদেরকে জবাবদিহি করবে, যারা হত্যা, খুন, গুমের সাথে জড়িত, দুর্নীতির সাথে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেবে এবং আওয়ামী লীগ যখন ক্লিন হবে, তারপরে যদি তারা চায় নেতৃত্ব, দেন আমি বিবেচনা করব।’

এর পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে তার মানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে?যদি পরিবর্তন আসেও তাহলে দলীয় নেতাকর্মীরা সেটা কতটুকু মেনে নেয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সহ দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন যদি আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে তাহলে দলের মধ্যে ভাগ যাওয়ার খুব বেশি সম্ভবনা দেখছেন তারা।কেননা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগকে লিড দেওয়ার কারণে আওয়ামী অনেক নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্বকে মেনে নিবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।যার জেরে অনেকেই মনে করছেন এমনটি হলে খুব শ্রীগ্রই দুভাগ হয়ে যেতে পারে আওয়ামী লীগ।

ফুয়াদ

×