.
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি দিতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মার্চ মাসের ‘রোজা’ সামনে রেখে চার মাস আগেই বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হবে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে। এ লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে চাল, ডাল, গম, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও ছোলা আমদানিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে এসব পণ্যের সঙ্গে আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতেও শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দ্রুত পণ্য আমদানি বাড়াতে ঋণপত্র (এলসি) মার্জিন প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ডলার ছাড়াই বাকিতে পণ্য আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এসব উদ্যোগের মূল লক্ষ্য আমদানি বাড়িয়ে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে দাম কমানো।
জানা গেছে, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যমতে অক্টোবর মাসে ভোগ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে হয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে, বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে দাম কমানোর উদ্যোগ না নিলে রমজান মাসে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন সীমিত আয়ের সাধারণ জনগণ। তবে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানোর বিষয়ে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমদানিকৃত বেশিরভাগ পণ্যের শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আদায় কিছুটা কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে এই ঝুঁকি নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে খোলা ট্রাকসেল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করার কথা ভাবছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে করে যারা কার্ডের বাইরে রয়েছেন তারাও টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের পণ্যসামগ্রী কিনতে পারবেন। রোজার সময় টিসিবি চিনি, খেজুর ও ছোলা বিক্রি করবে যা ইফতারিতে স্বস্তি দেবে।
জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে রমজানের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ এবং নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার ওপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হয়েছে। আর এ কারণেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একইভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও আমদানি সহজীকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি সচিবালয়ে জানান, রমজান মাস সামনে রেখে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে সার, চিনি, গম ও চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেজন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ নিশ্চিত করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, রোজার আগে খেজুর ও মসুর ডাল ও ছোলা আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি বা দাম বৃদ্ধির কারণে যেন ভোক্তাদের কষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, খাদ্যদ্রব্যের মজুত এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে কী কী জিনিস আমদানি বা মজুত করতে হবে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে, এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কী কী জিনিস আমদানি করতে হবে, কোন দামে ও কখন করতে হবে, তাও মন্ত্রণালয় থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে আমদানিকৃত পণ্য দেশে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে আশা করছি ভোগ্যপণ্যের দাম কমে আসবে। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে, মূল্যস্ফীতি বাড়ায় কিছুটা চাপের মুখে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে ইতোমধ্যে নীতি সুদহার বাড়ানো, এলসি সহজ করতে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং এনবিআরের মাধ্যমে আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হলেও বেসরকারি খাত উৎসাহিত হচ্ছে না। তবে আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের সমস্যা ও সংকট উত্তরণে কাজ করছে সরকার। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমদানি বাড়িয়ে সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে রমজানের আগে ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপণ্য আমাদানির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমে আসবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, মুদ্রাবিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক পণ্যমূল্য স্থিতিশীল থাকলে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি কমতে বাধ্য। মুদ্রানীতি সংকোচন করার পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
এছাড়া অর্থসচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার জানিয়েছেন, আমদানি বাড়াতে পেঁয়াজ, আলু, তেল চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের শুল্ক কমিয়েছে সরকার। আশা করছি, দ্রুত আমদানি বাড়বে। উল্লেখ্য, সিটি গ্রুপ, মেঘনা, বসুন্ধরা, টিকে গ্রুপসহ অল্প কয়েকটি বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ভোজ্যতেল, চিনি ও গম আমদানি করে। বাল্কে এসব পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আগামী দুই-তিন মাসের জন্য শুধু নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এসব করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এলসি মার্জিন প্রত্যাহার মানে হচ্ছে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে কোনো ডলার প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ বাকিতে পণ্য আমাদনির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা।
ভোগ্যপণ্যের ক্রয় প্রস্তাবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ॥ রমজানের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভোগ্যপণ্যের ক্রয় প্রস্তাবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি সংক্রান্ত সব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘রমজান’ সামনে রেখে আগেভাগেই বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। খাদ্যপণ্যের এই তালিকায় রয়েছে চাল, গম, চিনি, ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল, খেজুরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। সর্বশেষ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটিতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চাল-গম এবং ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ হাজার টন চিনি কেনার ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতোপূর্বে গত সপ্তাহে ভোজ্যতেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, রমজান মাস সামনে রেখে আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে আরও বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তথ্যমতে, রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেগুলোর আমদানি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্দেশ, ব্যাংকার ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এসব পণ্য আমদানিতে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারির মাধ্যমে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট পাঠানো হয়। ওই সার্কুলারে রমজানে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এসব পণ্য আমদানি সহজ করার মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা বলা হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানিতে এই সুবিধা মিলবে, সেগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও সার্কুলারে বলা হয়।
শুল্ক কমানোর সুবিধা নিশ্চিত হলেই বাজারে স্বস্তি আসবে ॥ বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়ে রেখেছে সরকার। কিন্তু শুল্ক ছাড়ের সুবিধায় ভোক্তারা কতটা পণ্য কিনতে পারছেন সেই প্রশ্ন এখন বাজার থেকে বাজারে। অভিযোগ রয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারে সব সময় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রয়েছে। এদের আগে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। একইভাবে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরব রয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সম্প্রতি এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ন্যায্যদামে পণ্য বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি বাজার কমিটি এবং সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও ভূমিকা রাখার কথা বলেন। অভিযোগ রয়েছে, শুল্ক সুবিধায় পণ্য আমদানি করা হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করে থাকেন। আমদানি শুল্ক কমানোর এই সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও ভোক্তাদের বেশি দাম দিয়ে ভোগ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে। শুল্ক কমানোর সুবিধা চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।
এদিকে, দেশের প্রধান খাদ্যপণ্য চাল আমদানির ওপর থেকে আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। বন্যা, আন্দোলন ও ক্ষমতার পালাবদলে সরবরাহ ঘাটতিতে চালের দাম ক্রমাগত চড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এ উদ্যোগ নিয়েছে। চাল আমদানিতে আগে সব মিলিয়ে শুল্ক-কর ছিল ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ (২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর)। এর আগে গত ২০ অক্টোবর চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় ৫ শতাংশ। আর ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তাতে আমদানিকারকদের তেমন সাড়া না মেলায় আমদানি পর্যায়ে সব শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান করভার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে (অগ্র্রিম কর) আনা হয়েছে।
এর ফলে প্রতিকেজি চালের মূল্য ৯ দশমিক ৬০ টাকা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভোজ্যতেল সয়াবিন খোলা প্রতিলিটার দাম বেড়ে ১৫৮-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ১৭ই অক্টোবর এনবিআর পৃথক দুটি আদেশে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়। অপর আদেশে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন কিংবা পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আমদানি পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হ্রাস এবং প্রত্যাহার করা হলেও এর প্রভাব বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। এ ছাড়া আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে। অন্যদিকে পেঁয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে এনবিআর। ডিমের বাজার সহনীয় রাখতে ১৭ অক্টোবর ডিম আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে বলে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।