হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প।আর বাংলাদেশে রাজনীতিতে, আলোচনা-চর্চায় আবারও শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন।ডন’ ফিরতেই যেন বুকে বল।এমনই ইন্ট্রোতে ৭ ই নভেম্বর খবর প্রকাশ করে কলকাতা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজার পত্রিকা।
বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।যেখানে উল্লেখ করা হয়,বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি (প্রধানমন্ত্রী) জননেত্রী শেখ হাসিনা ডোনাল্ড জে ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অভিনন্দন জানিয়েছেন।”
আনন্দবাজার আরো উল্লেখ করে বলে, ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এক রকম পালিয়েই আসেন। ঢাকা থেকে বিশেষ সেনা বিমানে দিল্লিতে।সর্বশেষ নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জ়োনেই আছেন হাসিনা উল্লেখ করে বলেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রথম দিন থেকেই দাবি করেন, মা পদত্যাগ করেননি।’ জয়ের বক্তব্য, শেখ হাসিনাকে সরকারিভাবে পদত্যাগ করার সময়ই দেওয়া হয়নি। আরো উল্লেখ করে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনও প্রমাণপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে নেই। যার প্রেক্ষিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় এবং আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উল্লেখ নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল।
ড. ইউনূস কে উল্লেখ করে বলা হয়, ইউনুস ঘোরতর ট্রাম্প-বিরোধী। । গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্ণধার যে হাসিনাকে হারাতে অনুদানও দেন, সে কথাও মনে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মূলত ইউনুসকে নিয়ে এই খবরের পরেই সারা বাংলাদেশে উঠে তীব্র সমালোচনার ঝড়।ইতোমধ্যে জনগণ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করার জন্য কলকাতার সরকারের কাছে পত্রিকাটিকে আইনের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। তারা আরো মনে করছে হাসিনার সব ষড়যন্ত্র তারা ইতোমধ্যে ব্যর্থ করে দিয়েছে।তারা আরো মনে করছেন খুব শীগ্রই হাসিনাকে আইনের মুখোমুখি করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ফুয়াদ