সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দলটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ,আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা আর অপেক্ষা করতে চায় না। তাদের মনোভাব এমন, আগামীকালই ক্ষমতায় বসতে হবে, চেয়ার দখল করতে হবে বলেছেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মি অলি বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজকে সমগ্র জাতির জন্য একটা বড় সমস্যা, । অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সব কাজে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাই অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কেউ যদি মনে করে, রাষ্ট্রপতিকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসবে এটা তাদের ভুল ধারণা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হচ্ছেন শেখ হাসিনার পেটোয়া বাহিনীর একজন সদস্য। তিনি শেখ হাসিনার মাথা। তাই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা আজকে বক্তব্য দিচ্ছে। গতকালকে (বুধবার) শেখ হাসিনা যেটা মেসেজ দিয়েছেন, সেখানে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এটি হচ্ছে। যাদের গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকার কথা, তারা আজকে বের হচ্ছে।
সনাতন ধর্মের লোকদের নিয়ে রাস্তায় নামছে আওয়ামী লীগ। দেশে বিভিন্নভাবে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকায় তারা আবার কথা বলা শুরু করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।
তার এই বক্তব্যের পরই সোস্যাল মিডিয়ায় উঠে আলোচনার ঝড় ।অনেকে মনে করছেন,মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর হাসিনা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।অনেকেতো এখন ভাবছেন,শেখ হাসিনাই হয়তো এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাচ্ছেন, যদিও এটা এখনো সোস্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিকই বিষয়টির চর্চা হচ্ছে।
ফুয়াদ