প্রচুর পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে আসার ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।যার পুরো কৃতিত্বটাই প্রবাসীদের।
তথ্য বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবনুযায়ী, চলতি মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন।
গত মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২ অক্টোবর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬ এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, কোথাও প্রকাশ করা হয় না।
ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। তবে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল।
জুলাইয়ে আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে না বলে হুমকি দেন প্রবাসীরা। আন্দোলনে ছাত্রদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ হিসেবে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইনও করেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব পড়েছিল প্রবাসী আয়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। যা ছিল এর আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এরপর নতুন সরকার গঠনের পর আবার দেশ গঠনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর ফলে প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে।
ফুয়াদ