বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের পরিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছে। এ সময় তার ভাইয়েরা জানিয়েছেন, আবু সাঈদের স্মরণে তাদের গ্রামে একটি মডেল মসজিদ এবং একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করতে চান। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য দুটি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তারা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, অধ্যাপক ইউনূসের সাথে দেখা করার জন্য আবু সাঈদের দুই ভাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়েছিলেন।
শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লবে তাঁর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা আপনি তুলে ধরেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার একদিন পরই রংপুরে আমাদের গ্রামে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এতে আমরা সম্মানিত বোধ করেছি।
রমজান আলী বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সৈন্যরা আমাদেরকে গার্ড স্যালুট দিয়ে সম্মান জানিয়েছে; তখন আমাদের কেমন লেগেছে তা আমি বলতে পারব না।
আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপনের কথা জানিয়েছেন আবু হোসেন। ফাউন্ডেশন দরিদ্র ও জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া আবু সাঈদের স্মরণে তাদের গ্রামে একটি মডেল মসজিদ এবং একটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করতে চান তার ভাইয়েরা। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য দুটি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তারা।
আবু সাঈদের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘দ্রুত আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আবু সাঈদ জাতির জন্য যা করেছেন, তা বাংলাদেশ কখনও ভুলবে না। তার আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল।
পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তোমাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আমি সবসময় তোমার সঙ্গে থাকবো। আমি সবসময় তোমার সাথে থাকব। তোমার বাবা-মাকে আমার সালাম জানাবে।
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
এসআর