ছবি: সংগৃহীত
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসকন বিরোধী একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হাজারী গলিতে দুর্বৃত্তের ছোঁড়া ইটপাটকেল ও এসিড নিক্ষেপে ৫ সেনা সদস্য এবং ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এ ঘটনার পর পুরো চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে যৌথবাহিনীর টহল ও তৎপরতা। অপরদিকে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান।
বুধবার বেলা ১২ টায় যৌথ বাহিনীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে টাস্কফোর্সের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফেরদৌস আহমেদ। তিনি বলেন, গত ৫ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় ওসমান আলী নামে এক ব্যক্তির ইসকন বিরোধী এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে হাজারী লেনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ৫শ থেকে ৬শ দুষ্কৃতকারী ওসমান ও তার ভাইকে হত্যা এবং জ্বালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়।
স্থানীয় কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যের ৬টি গাড়ি সেখানে পৌঁছে। বিশৃঙ্খলাকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় জানমাল রক্ষা এবং মব জাস্টিস রোধে যৌথবাহিনী ওসমান ও তার ভাইকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে। উত্তেজিত জনতাকে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়টি আশ্বস্ত করা হবে জানালেও বিশৃঙ্খলাকারীরা আরও আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা এসময় যৌথবাহিনীর ওপর জুয়েলারি কাজে ব্যবহৃত এসিড নিক্ষেপ ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এতে সেনাবাহিনীর ৫ এবং পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়। বর্তমানে ৫ সেনা সদস্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। দুর্বৃত্তরা ইট ছুঁড়ে সেনাবাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যানের উইন্ডশীল্ড ভেঙ্গে ফেলে।
সংবাদ সম্মেলনে টাস্কফোর্সের মুখপাত্র বলেন, উদ্ধার অভিযানের পর দুর্বৃত্ত শনাক্তে হাজারি লেনে যৌথবাহিনীর ১০ টি টহল দল ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় গেলে পুনরায় দুষ্কৃতিকারীরা এসিড সদৃশবস্তু নিক্ষেপ করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন ৮০ জনকে আটক করা হয়। বর্তমানে সিসিটিভি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রকৃত দুষ্কৃতিকারী চিহ্নিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে দুর্বৃত্তদের আটক করতে অভিযান চলমান এবং হাজারী লেনসহ নগরীর অন্যান্য এলাকা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
হাসান