ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী হিসেবে নানা সময়ে নানা ইস্যুতে দেশ জুড়ে ছিলেন আলোচিত সমালোচিত।
২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২১তম সম্মেলনেও তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ২২তম সম্মেলনেও তিনি টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হন।
সম্প্রতি ছাত্র- জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
৫ আগস্টের পর থেকে আর কোন হদিস নেই ওবায়দুল কাদেরের। কখনো তিনি ভারতেই রয়েছেন,আবার কখনো হংকং কিংবা সিঙ্গাপুরে রয়েছেন এমন কথা শুনা গেলেও আসলে তিনি কোথায় আত্নগোপনে রয়েছেন,তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
সম্প্রতি বাংলা অ্যাফিয়ার্স নামে একটি অনলাইন পোর্টাল খবর দিয়েছে যে, কাদের না কি
বহিষ্কার হচ্ছেন! প্রতিবেদনটি বলছে,সাধারণ সম্পাদক হিসাবে হ্যাট্রিক করা ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের সোনালী দু:সময়ের নেতা হিসাবে তার অবদান রাখলেও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ছিলেন চরম সমালোচিত।
সাধারণ সম্পাদক হিসাবে খোদ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই তিনি ছিলেন চরম বিতর্কিত এবং অহংকারী। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ওবায়দুল কাদের বহিষ্কার হচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে অনলাইন পোর্টালটি।
অনেকে মনে করছেন হাইব্রিড মুক্ত আওয়ামী লীগ নিয়েই ফিরতে হবে ঐতিহ্যবাহী দলটিকে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাওয়া হিসাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে যেকোনো মুহূর্তেই বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র।
গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের অধ:পতনের নেপথ্যে খলনায়কদের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরকেই শীর্ষে রাখছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। রমনীমোহন ওবায়দুল কাদেরদের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক কেলেংকারির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সরব উপস্থিতি দেশের সাধারণ মানুষ থেকে আওয়ামী লীগেরই অনেক নেতাকর্মীকে বিনোদনের খোরাক দিতো।
সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় তাকে ‘কাউয়া’ হিসাবে স্লোগান শুনতে হয়েছিল তৃণমূলের কাছ থেকে। মজার তথ্য, তিনি গত বছর বলেছিলেন; আমরা এই দেশে জন্মেছি, এই দেশে মরব, পালাব না। কোথায় পালাব! পালাব না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি এ কথা বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিজ দলের মধ্যে তিনি আরেকটি উপদল করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার দলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কমপক্ষে ২২-২৫ জন রয়েছেন। তাদের বিষয়েও নতুন করে ভাবতে হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ফুয়াদ