ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

তওবা করেই মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে হবে: হেফাজত আমির

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ৫ নভেম্বর ২০২৪

তওবা করেই মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে  আসতে হবে: হেফাজত আমির

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্য’ শীর্ষক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন যতদিন না মাওলানা সাদ তার গোমরাহী বক্তব্য থেকে তাওবা না করবে, ততদিন তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া যাবে না।

 

 

 

আমিরের বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

 

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শুরায়ে নেজাম দ্বারা পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে চালু রাখতে হবে।’

 

বক্তব্যে হেফাজত আমির বলেন দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত উম্মতে মুহাম্মদির ওপর আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব। ওলামায়ে কেরামের দাওয়াতের মাধ্যমেই আজ পুরো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে কোরআন ও সুন্নাহর সহিহ বাণী পৌঁছেছে। আলোকিত হয়েছে সারা বিশ্ব।

দাওয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেকের সাথে মাখলুকের তায়াল্লুক সৃষ্টি করে দেয়া। আত্মভোলা মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেয়া। এই দায়িত্ব আমার আপনার এবং উম্মতে মুহাম্মদী সকলের। এই দায়িত্ব পালনের জন্যই মাওলানা ইলিয়াস রহ. তাবলিগের কাজ শুরু করেছেন।’

দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরুব্বি মাওলানা সাআদ বিভিন্ন সময় কোরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসুল, নবুয়ত, সাহাবায়ে কেরাম এবং শরয়ী মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্যগুলো কোরআন-সুন্নাহবিরোধী, যা মেনে নেওয়া যায় না’- উল্লেখ করে হেফাজত আমির আরও বলেন, ‘দাওয়াতে তাবলিগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে।

যারা মাওলানা সাআদের বিরোধীতাকারী আলেমদেরকে দেওবন্দি, হেফাজতি বলছে তারা গোমরাহিতে আছে। হযরতজ্বী ইলিয়াছ রহ. বলে গেছেন, যদি তাবলীগ থেকে ইলম ও জিরিক উঠে যায়, তাহলে দাওয়াতে তাবলিগের কাজে গোমরাহী ডুকে যাবে।’


হেফজতের আমির তাদের দাবিগুলো পেশ করতে গিয়ে বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমার দাবি হলো, যতদিন মাওলানা সাআদ তার গোমরহী বক্তব্য থেকে তাওবা না করবে, ততদিন তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া যাবে না।

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শুরায়ি নেজামে পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামে জিম্মাদারীতে চালু রাখতে হবে।

ব্যক্তি মাওলানা সাআদের কারণে ছাত্রজনতা ও আলেম ওলামাদের কুরবানীর বদৌলতে অর্জিত স্বাধীন নতুন এই বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার বেকায়দায় পড়ুক আমরা চাই না। আমি আশা করি সার্বিক বিবেচনায় সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন’।

ফুয়াদ

×