মাজার ভাঙ্চুর।
হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এর মাজার ভাঙ্চুর করেছে একদল তৌহিদি জনতা। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ মাজারে তান্ডব চালায় তারা। এসময় মারধর করা হয় মাজারে দায়িত্বরত ব্যক্তিদেরও। পরে সেনাবাহিনী আসার খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় ইসলামী মহাসম্মেলন। দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এ সম্মেলনে হাজার হাজার আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মসল্লি অংশ নেন।
সকাল নয়টায় মহাসম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফজরের পরপরই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। পরে ভোর থেকে শুরু হয় আলোচনা। এরই মধ্যে সকাল এগারোটার দিকে একদল তৌহিদি জনতা হয়রত হাজী খাজা শাহবাজের (রাহ:) মাজারে যান। সেখানে গিয়ে তারা তান্ডব চালান। এসময় মাজারে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা বাধা দিতে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাজারের ভিতরের পর্দা ছিড়ে ফেলা হয়েছে। লোহার রেলিং ভাঙ্গা হয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনার পর উধাও মজারের দান বাক্স।
এ বিষয়ে মাজারের খাদেম জহিরুল ইসলাম বলেন, সকাল এগারোটার দিকে তারা এসেই আমাদের গেটের বাইরের ব্যানার পোস্টার ছিড়ে ফেলে। আমাদের মাজারের ভিতরের যে সকল ভক্ত ছিল তাদের মারধর করে। তারা জুতা পড়ে মাজারে প্রবেশ করে এবং লোহার রেলিং ভেঙে ফেলে। তিনটির দান বাক্স ছিল সেগুলো তারা নিয়ে গেছে। এ সময় তারা এখানে একজন মহিলাকেও মারধর করেছে। ঘটনার এক পর্যায়ে আমরা সেনাবাহিনীকে খবর দেই। আর্মি আসার কারণে তারা আমাদের মাজার পুরোপুরি ভাঙতে পারে নাই। এ সময় সমাবেশ শেষে তারা আমাদের মাজার ভাঙবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) খালেদ মুনসুর বলেন, এ ধরনের ভঙ্চুরের কোন খবর পাইনি। কেউ অভিযোগ দেয়নি।
রিয়াদ