মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইকনকোয়ারির সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে।
গুম কমিশনে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইকনকোয়ারির সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।
মঈনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এরই মধ্যে ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ১৪০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন। বেশিরভাগ অভিযোগেই দেখা গেছে, গ্রেপ্তারের পর আসামিকে আদালতে যথাসময়ে হাজির করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতিটি বাহিনীকে বিগত সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল এবং বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুম ও নির্যাতনের তথ্য পেয়েছে কমিশন। মঈনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ১৭২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ডিবির বিরুদ্ধে ৫৫, সিটিটিসির বিরুদ্ধে ৩৭, ডিজিএফআইয়ের ২৬ ও পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ঢাকায় র্যাবের বেশ কয়েকটি টর্চার সেল পেয়েছে কমিশন।
গুমের সঙ্গে দেশি-বিদেশি কারা সম্পৃক্ত তা খুঁজে দেখা হচ্ছে বলেও জানান কমিশন প্রধান। সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, তাদের কাছে প্রায় দুই শ মানুষ নিখোঁজের তথ্য আছে। তবে তাদের কতজন গুম হয়েছেন তা নিশ্চিত নয়।
ইসরাত