আজ মঙ্গলবার(০৫ নভেম্বর) সকাল ৯ টায়, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাওয়াত ও তাবলীগ, মাদারেসে ক্বওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজত এর লক্ষ্যে ইসলামী মহা-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামগণ।
সোমবার ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর পুরাতন পল্টনের একটি রেস্তোরাঁয় একটি সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে মহাসম্মেলনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফিং করেন মহাসম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে অন্যতম দায়িত্বশীল মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের সর্বস্তরের আলেম ওলামা ও আপামর তাওহীদি জনতাকে দলে দলে যোগদান করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন মহা-সম্মেলন এর আহ্বায়কগণ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, নতুন বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সর্বস্তরের শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ দেশপ্রেমিক মানুষদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়া সময়ের অপরিহার্য দাবি। এই লক্ষ্যে আগামীকাল ৫ নভেম্বরের ইসলামী মহাসমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং যেকোনো মূল্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই মহাসমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে হবে।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শত বাধা-বিপত্তি, গুজব ও অপপ্রচার উপেক্ষা করে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এই মহাসমাবেশ-কে কামিয়াব করার জন্য যা যা করা দরকার সবই করতে হবে। প্রস্তুতি কমিটি সম্মেলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সফল করার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। সে সময় তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবন্দ।
মহাসম্মেলনের আহ্বান জানানো বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে রয়েছেন আল্লামা শাহ্ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী, আল্লামা আব্দুল হামিদ, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুসn আরো অনেকে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্মেলনকে কেন্দ্র ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা দিয়েছেন লাখো লাখো মানুষ। রাতেই অনেকে সম্মেলনস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লি দ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ। এছাড়াও সম্মেলনের আশেপাশের এলাকায় তীব্র জানজট সৃষ্টি হয়েছে।
নাহিদা