বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট, জঙ্গি সংগঠন উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করার কথা বলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলল ইস্কন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে সংঘটি।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘ইসকন সম্পর্কে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ও সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন বলেছেন। তিনি আমাদের ‘র’-এর এজেন্ট বলেছেন। ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়েছেন। ওনাকে এসব প্রমাণ করতে হবে।
আর প্রমাণ করতে না পারলে জাতির সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। ইস্কন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হিন্দু ধর্ম প্রচার করে। আমরা আমেরিকা, রাশিয়া বা কোনো দেশের গোয়েন্দা সংস্থা না।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “সম্প্রতি আমরা ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষ থেকে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও অসত্য হুমকি এবং নিষেধাজ্ঞার আহ্বানের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
তার বক্তব্য শুধু আমাদের সংগঠনকেই আঘাত করেনি, বরং এটি বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, সহনশীলতা এবং সামাজিক ঐক্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আমাদের বিশ্বাস, এ ধরনের অযাচিত ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দেশের শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর। মাহমুদুর রহমানকে অবহিত করতে চাই, তিনি যদি তার বক্তব্য পরিহার করে দুঃখ প্রকাশ করে জাতির কাছে ক্ষমা চান, তাহলে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাব, অন্যথায় তার বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আমরা লক্ষ করছি, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসকন বাংলাদেশকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়াচ্ছে। যেমন- সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে যে ছবি বা পতাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন।
ফুয়াদ