তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ
জাতির পিতা বলার আগে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা জাতির সামনে খুলে দেওয়া হলে জনগণই সেটা বিবেচনা করবে, কার কী ভূমিকা ছিল। জনগণ যদি দেখে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাহলে তারাই সেটা ঠিক করবে। আর জনগণ যদি জনগণ মনে করে, তার সেই ধরনের ভূমিকা ছিল না, তাহলে সেটা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে মাফিয়া লীগে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কারও আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।
গত বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
শারমিন আহমদ বলেন, মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার করে, পরিচ্ছন্ন কারোর হাতে নেতৃত্ব দিলে এক বা দুই যুগ পরে আওয়ামী লীগ আবার দেশে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে পারে। তবে, আপাতত এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পর শারমিন আহমদের মা জোহরা তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগের হাল ধরে বিলুপ্তির হাত থেকে দলটিকে রক্ষা করেন। এ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে শারমিন আহমদ বলেন, ‘আমার মা (১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর) দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু পরে সে দলটি হাইজ্যাক হয়ে গেল এবং একটি পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে গেল। এবারের প্রেক্ষাপটটি কিন্তু আরও ভিন্ন। কারণ, গণঅভ্যুত্থানের সময় এবার এ দলটির হাতে এত এত তরুণের মৃত্যু, জনগণের মৃত্যু, মানুষের দেহে এখনও বুলেট। কাজেই আমরা কেন আওয়ামী লীগে যাব? এ আওয়ামী লীগতো একটি মাফিয়া লীগ। এমন আওয়ামী লীগ আমরা কেন করব, যাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই?’
শারমিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের ভালো লোকগুলোকে একত্র করে, জনতার পাশে দাঁড়িয়ে মাফিয়া লীগের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে হবে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কারোরই আর দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। আমি মনে করি শেখ হাসিনা বা শেখ পরিবারের কারোরই আর রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
জাতির পিতা প্রশ্নে শারমিন আহমদ বলেন, জাতির পিতা বলার আগে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা জাতির সামনে খুলে দেওয়া হলে জনগণই সেটা বিবেচনা করবে, কার কী ভূমিকা ছিল। জনগণ যদি দেখে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাহলে তারাই সেটা ঠিক করবে। আর জনগণ যদি জনগণ মনে করে, তার সেই ধরনের ভূমিকা ছিল না, তাহলে সেটা হবে না।
তাসমিম