ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

এমপিদের বিলাসবহুল ৫২ গাড়ি নিলামে উঠছে,থাকছে হাসিনার গাড়ি!

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ২ নভেম্বর ২০২৪

এমপিদের বিলাসবহুল ৫২ গাড়ি নিলামে উঠছে,থাকছে হাসিনার গাড়ি!

আর মাত্র মাসখানেক সময় পেলে ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ৫২টি গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাস করতে পারতেন দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা।

 

 

 

 

 

কিন্তু ৫ আগস্টের পট পরিবর্তন ও দ্রুততম সময়ে সংসদ ভেঙে দেওয়ায় ‘কপাল পুড়েছে’ ৫২ এমপির। গাড়ি আমদানির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরও সাবেক হয়ে যাওয়ায় এখন আর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছেন না সেই এমপিরা। এসব গাড়ি ছাড় করতে হলে এখন ৮৫০ শতাংশ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে তাদের। সেই সঙ্গে পূরণ করতে হবে কাস্টমসের শর্তাবলি। তা ছাড়া সাবেক এমপি অনেকেই এখন পলাতক। তাদের এখন আর এই পথে হাঁটার সম্ভাবনা নেই। তাই গাড়ি বন্দরে আসার ৩০ দিন অতিবাহিত হতেই সেগুলো নিলামে তুলছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ মাসের মধ্যেই নিলামের তারিখ চূড়ান্ত হবে।

 

এরই মধ্যে দুই দফায় ২৪ জন এমপিকে শর্ত মেনে গাড়ি খালাস করতে নোটিশ দিয়েছে তারা। কিন্তু এটি নিয়ম রক্ষার নোটিশ। মূলত নিলামেই উঠবে সব গাড়ি। এর মধ্যে রয়েছে– মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, জাগোয়ার, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, মিতসুবিশি, ফোর্ড, লেক্সাস ব্র্যান্ডের গাড়ি। গত ১৫ বছরে ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা মূল্যের দামি গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছেন এমপিরা।

 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, বিলাসবহুল এসব গাড়ির শুল্কসহ প্রতিটির বাজারমূল্য ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা। গাড়িগুলোর ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার সিসি। স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের গাড়ির ওপর ৮৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এমপিরা এসব গাড়িতে পেতেন শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা। এখন সংসদ না থাকায় তারা শুল্কমুক্ত সুবিধা আর পাবেন না।

তাহলে নোটিশ পাঠালেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দরে গাড়ি আমদানির পর ৩০ দিন পার হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর নিলামের জন্য কাগজপত্র আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। ওই কাগজপত্রে ছাড় না করা গাড়িগুলোর বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। এর পর আমরা আমদানিকারক বরাবর একটি নোটিশ ইস্যু করি। নোটিশে বলা থাকে নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে গাড়ি ছাড় করার জন্য। ইতোমধ্যে এমপি বা তাদের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে নোটিশ পৌঁছানো হয়েছে। তবে এখানে অনেক শর্ত যুক্ত আছে। যেগুলো আসলে পূরণ করতে পারবেন না সাবেক এমপিরা। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, নিলাম কার্যক্রম তদারকি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমরা নিলামযোগ্য পণ্যের তালিকা তাদের দিই। ৫২টি গাড়ির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে যেগুলো ৩০ দিন আগে আমদানি হয়েছে, সেগুলোর তালিকা দিয়েছি আমরা কাস্টমসকে।

 

এর মধ্যে অবশ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি রয়েছে কিনা তা এখনো জানা যায় নি।

ফুয়াদ

×