বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনির গুরুত্ব বেড়েছে বিএনপিতে। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে তার যে যোগাযোগ, তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চায় দলটি। আর সেজন্য ক্ষমতার পালাবদলের পর মনিকে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান করেছে দলটি। বিএনপির একাধিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ২০ আগস্ট নুরুল ইসলাম মনিকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করে বিএনপি। ওইদিন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মনি দলকে সুসংবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে বলে দল আশা রাখে।’
আন্তর্জাতিক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ কানেকশন থাকা মনির সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মূলত দলের সঙ্গে চীনের লবি মেইনটেইন করার জন্যই তাকে পদোন্নতি দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। চীনের সঙ্গে মনির যোগাযোগকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কাজে লাগাতে চেয়েছেন।
নুরুল ইসলাম মনি ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পরের দিন অর্থাৎ ২১ আগস্ট সকালে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির ছয় শীর্ষ নেতার বৈঠক হয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে নুরুল ইসলাম মনিও ছিলেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম মনি ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বরগুনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও তিনি ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, সংসদ সদস্য থাকাকালীন পাথরঘাটাসহ বরগুনার সব মানুষের কাছে জনপ্রিয় প্রতিনিধি ছিলেন মনি। এলাকার উন্নয়নে এবং যুবাদের কর্মসংস্থান তৈরিতে তিনি নানাভাবে ভূমিকা রেখেছেন।
২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করার জন্য ঢাকা থেকে বাড়িতে যান মনি। সেসময় তাকে এগিয়ে নিতে আসা কয়েকশ মানুষ পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় হামলার শিকার হয়।
অভিযোগ ছিল, আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি ও দলটির নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায়। হামলায় নুরুল ইসলাম মনিসহ শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। এরপর দীর্ঘদিন এলাকা থেকে দূরে থাকলেও ক্ষমতার পালাবদলের পর তিনি সম্প্রতি পাথরঘাটা সফর করেন।মূলত বিভিন্ন মহল মনে করছে চীনের সাথে ভালো সম্পর্কের সাথে সাথে দলে নিজের পরিশ্রম ও যোগ্যতার জন্যই ভাইস চেয়ারম্যান হলেন মনি।ইশারা বা অন্য কিছু তারা এখানে এটা দেখছেন না।
ফুয়াদ